২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২২
রেডটাইমস ডেস্ক: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের জেদ ছিল এই সেতু নির্মাণ করবোই। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আলোর পথে এই যাত্রায় সফল হয়েছি। দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে দুই বছর দেরি হলেও আমরা দমে যাইনি। আমরাই বিজয়ী হয়েছি। পদ্মা বিজয়ের আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ শনিবার (২৫ জুন) আয়োজিত সুধী সমাবেশে সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে বক্তব্য রাখার সময় এই সেতুর নির্মাণকাজের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের স্মৃতিচারণ করে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না”। তাঁরই কন্যা দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার গৌরবের ৫১তম বছরে বাঙালি কে আবার মাথা উচু করে দাঁড়ানোর জন্য আজকের মহা উৎসব, উচ্ছাস।
তার পরিবারের সদস্যদের মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতির কথা এ সময় সবার সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে কীভাবে একটি পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সেই যন্ত্রণা ভোগ করেছে আমার বোন শেখ রেহানা, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই যন্ত্রণা ভোগ করেছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, সত্যের জয় হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আজ শনিবার (২৫ জুন) মাওয়ায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলেন তাদের কারও বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই। কারণ জাতির পিতা বলেছিলেন এই মাটি আমার, এই দেশ আমার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু হতোদ্যম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আলোর মুখ দেখেছি আমরা। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ ও সোনালি আলোর ঝলকানি।
তিনি আরও বলেন, এই সেতুর মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ সহজ হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের উন্নতি হবে। তাদের যাতায়াত সহজ হবে। এছাড়া এই অঞ্চলের দারিদ্র্যের হারও হ্রাস পাবে।
দ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর জন্য একজনেরই কৃতিত্ব। তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা, শেখ হাসিনা। কেন পদ্মা সেতুর সঙ্গে তার নাম থাকবে না সেটাই ছিল সবার দাবি। কিন্তু তিনি সেটি গ্রহণ করেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কাগজের লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লেখা নাম ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখা নাম মুছে যাবে, কিন্তু হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে। যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে সম্মানের সঙ্গে আপনার নামটি উচ্চারিত হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আপনাকে অভিবাদন, আপনাকে গোটা জাতি স্যালুট করে। সারা বিশ্বে আপনি আজ প্রশংসিত। আপনি প্রমাণ করেছেন আমরাও পারি। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করেছেন। দুঃসময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সবকিছু অতিক্রম করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মতো এমন কমিটেড মানুষ যদি না থাকতেন এমন সংকট, এত প্রতিবন্ধতা অতিক্রম করতে পারতাম না। যারা পদ্মা সেতুর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা জানেন এখানে কাজ করা কঠিন ছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডাকে সাড়া দিয়ে পদ্মাপাড়ের অনেক মানুষ তাদের বাপ-দাদার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com