১৮ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৮
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, তার অস্ত্রাগারে এমন কিছু নতুন অস্ত্র এসেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও হার মানাবে। এসব অস্ত্রের বেশিরভাগই বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র যাকে তিনি ‘অপরাজেয়’ বলে আখ্যা দেন।সম্প্রতি এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন ।
১ মার্চ, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পার্লামেন্টে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এমন দাবি করেন পুতিন। খবর সিএনএন। কী সেই নতুন অস্ত্র? তা কী আসলেই রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে? নাকি রাশিয়া শীতল যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর না জানা গেলেও। জানা গেছে পুতিনের নতুন অস্ত্রগুলোর পরিচয় ও ক্ষমতা। আসুন পরিচিত হওয়া যাক বিধ্বংসী অস্ত্রগুলোর সঙ্গে।
১) নিউ জেনারেশন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল
‘সারমাট’ নামের এই মিসাইল অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে পারে। এমনকি দক্ষিণ মেরু বা উত্তর মেরু পার হয়ে রাশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে এই মিসাইল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এখনো কোথাও পরীক্ষা করে দেখেনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী।
২) নিউক্লিয়ার পাওয়ারড ক্রুজ মিসাইল
পুতিন গর্ব করেই বলেন এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা। তিনি জানান, রাশিয়া এমন একটি মিসাইল তৈরি করেছে যা নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য শূন্যে ভেসে থাকতে পারবে। এর শক্তি আসবে একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে। পুতিন জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়।
৩) মনুষবিহীন জলচর বাহন
গোপনে পানির নিচে চলাচল করতে সক্ষম এক বাহন তৈরি করেছে রাশিয়ার বাহিনী। তারা পানির নিচ থেকেই অনেক ধরনের লক্ষ্যে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই বাহনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে এই বছরের ডিসেম্বরে।
৪) নতুন এয়ার লঞ্চ মিসাইল
শব্দের চাইতে কয়েক গুণ বেশি গতির এক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে রাশিয়া, জানান পুতিন। ‘কিনজাল’ বা ছোরা- নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র ইতোমধ্যেই সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে তারা। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে রাশিয়ার দক্ষিণে এয়ারফিল্ডগুলোতে তা ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।
৫) হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল
এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপারে তেমন কিছু বলা হয়নি। তবে পুতিন বলেন এই অস্ত্র ‘উল্কার মতো’ শব্দের কয়েকগুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম।
এতসব অস্ত্রে কেন নিজের সামরিক বাহিনীকে সজ্জিত করছেন পুতিন? সামনে কি শীতল যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে? পুতিনের মুখপাত্র, দিমিত্র পেসকভের মতে, ‘না’। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, অস্ত্র নিয়ে এমন জাঁকজমকের অর্থ হতে পারে সংঘর্ষের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: CNN
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com