২০শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১০, ২০২২
মীরা মেহেরুন
সৃষ্টির মোট জ্ঞান বা অজানার কত অংশ মানুষ তার হাতের মুঠোয় আনতে পেরেছে!
একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লেটেস্ট ভার্সন প্রস্ততকারী সম্পর্কে যতটুকু জানতে পারে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষ হচ্ছে সেই মহাবিজ্ঞানী অথবা তার কতিপয় সহযোগী কর্তৃক সৃষ্ট বুদ্ধিমত্তা যাকে দেয়া হয়েছে অপরিসীম কল্পনা শক্তি।
এই অসীমতার অন্বেষণে জ্ঞানের সামান্য অংশও যখন তার কল্পনাতীত ব্যাপার হয় তখনই সে নানা রকমের কল্পনাশক্তি প্রয়োগ বা আরোপ করে তার অনুমানের ওপর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে মানুষের পার্থক্য কেবল এখানেই।
ধারণা করা হচ্ছে আগামী পৃথিবী শাসন করবে মানব সৃষ্ট বিভিন্ন ভার্সনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তখন কতিপয় মানুষ দখল করবে সৃষ্টিকর্তার আসন আর তাদের আবিষ্কৃত এসব বুদ্ধিমত্তারাই হবে তাদের সৃষ্টি বা কুন।
আর এসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যারা তৈরি করছেন তারা হলেন ইহুদি নাসারা নাস্তিক মুরতাদ। যৌক্তিকভাবে তাদের আবিষ্কৃত বুদ্ধিমত্তারাও হবে নাস্তিক মুরতাদ ।
এমনটা ঘটলে তা কিন্তু বেশ ভয়ের ব্যাপার হবে এই মর্মে যে, আগামী সময়ে পৃথিবীতে ঐশী বাণী সম্বলিত কোনো ধর্ম থাকবে না, ধর্ম না থাকলে বর্ণবৈষম্যবাদ থাকবে না, বর্ণবৈষম্যবাদ না থাকলে নারী পুরুষের ভেদাভেদ তৈরির সুযোগ থাকবে না, মারামারি কাটাকাটিও থাকবে না। তখন মানুষ কিভাবে সময় পার করবে! আল্ আকসা মসজিদ নিয়ে তিন ধর্মের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ,বাবরি মসজিদ নিয়ে দুই ধর্মের মানুষে মানুষ রক্তারক্তি, মাজারের চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে খুনখারাবি, অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসার হিস্যা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি কাটাকাটি বন্ধ হয়ে যাবে। মানব জাতির ইতিহাস ও বর্তমান জীবনাচরণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষের একমাত্র কাজ হলো ধর্ম, বর্ণ এবং ধর্মালয় নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত থাকা।
প্রকৃতই মানুষ যে কি চায় তা সে নিজেও জানে না।
সত্যিই এটা ভাবনার বিষয় যে একসময় এই কলহপ্রবণ মানবজাতি হয়তোবা গুরুত্ব হারিয়ে অবাঞ্ছিত হয়ে পড়বে এই গ্ৰহে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com