২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন,প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত ৩০০ মোবাইল ফোন নম্বর চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান মো. আলমগীর আরো বলেন,এসব মোবাইল নম্বরের মালিকদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানেও নেমেছে।গত বছর বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর এবার এসএসসিতে শিক্ষামন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি ও ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণার পরও প্রশ্ন ফাঁস হয়েই চলছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার সচিবালয়ে এই কমিটির প্রথম সভা শেষে সচিব আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “এ পর্যন্ত ৩০০ টেলিফোন নম্বর চিহ্নিত করে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।”
এই নম্বরধারীদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে তিনি বলেন, এরা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে, কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে। এদের অভিভাবকরাও আছে।
চলতি এসএসসি ও সমমানের সবগুলো পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলে আসায় পরীক্ষার শুরুতে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
শুরুতে অস্বীকার করলেও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখন বলছেন, পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগে উদ্দেশ্যমূলকভবে শিক্ষকরা প্রশ্ন ফাঁস করে দিচ্ছেন।
চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি না- কমিটি তা পর্যালোচনা করছে । আলমগীর
বলেন, মিডিয়ায় যে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ এসেছে সেগুলো দেখে পর্যালোচনা করব। তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে আগামী রোববারের সভায় পর্যালোচনা করে মতামত কর্তৃপক্ষকে জানাব, কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা জানান কমিটির প্রধান।
আসলেই ফাঁস হয়েছে কি না, কতক্ষণ আগে ফাঁস হয়েছে, তার প্রভাবটা কী, কতজন ছাত্র-ছাত্রী এটির মধ্য দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে, পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, বাতিল করা হলে কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এসব বিষয় দেখা হবে।
দেখা যাচ্ছে যে, প্রশ্ন পেয়েছে ৫/১০ মিনিট আগে। ওই প্রশ্ন পেয় তো বেশি প্রভাবের সুযোগ নাই। আবার দেখা গেছে বেশ আগে ফাঁস হলেও ৫ বা ১০ হাজার ছেলে-মেয়ে পেয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে ২০ লাখ। এমন বিষয়গুলো হিসাব-নিকাশ করে প্রতিবেদন দেব।
সচিব জানান, যে ৩০০ মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মালিককে ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও গ্রেপ্তার করা হবে। শুধু গ্রেপ্তার নয়, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমগীর বলেন, টেলিফোন নম্বর যাদের পাওয়া যাবে সে অভিভাবক হোক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক হোক, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা আইন এবং সাইবার অপরাধের আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনও হতে পারে তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে সেখানে তারা বহিস্কার হবে।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চারটি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির জরুরি সভায় ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও বিটিআরসি প্রতিনিধি, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিদের ওই কমিটিতে রাখা রয়েছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com