বইমেলায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন দিলরুবা আহমেদ।
বইমেলায় যোগ দিতে টেক্সাস থেকে এসেছেন দিলরুবা আহমেদ। আমেরিকা প্রবাসী অত্যন্ত জনপ্রিয় এই লেখিকাকে এবার-ই প্রথম দেখা যাবে বই মেলায় । লেখিকা -র অধিকাংশ লেখাই প্রবাস ভিত্তিক ।এবার বইমেলায় নতুন উপন্যাস "গ্রিনকার্ড" টি-র সাথে সাথে আরো পাওয়া যাবে "অনন্যা" প্রকাশনী -তে (পেভিলিয়ন ১৫ ) "ব্রাউন গার্লস", "বলেছিলো","প্রবাসী "। প্রবাসে থাকা (আমেরিকায় ) অভিবাসীদের পড়াশোনা, চাকরি একাকিত্ব, প্রেম ,সংগ্রাম পরিশ্রম ইত্যাদি সব উঠে এসেছে এই উপন্যাস গুলোতে ।এই পর্যন্ত লেখিকার ১১-টি গ্রন্থ বেরিয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে । লেখিকার উল্লেখযোগ্য বই " টেক্সাস টক " টি ২৫ টি গল্পের সমারোহ । তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন রেডটাইমস এর সাবএডিটর মেরিনা সঈদ ।
মেরিনা সঈদঃ বইমেলায় কেন এলেন এবার যোগ দিতে ?
দিলরুবা আহমেদমেলায় যাবার ইচ্ছে তো বহুদিনের ।এবার ভাবলাম যাই একটু ঘুরে ছুঁয়ে দেখি স্বপ্নটুকু ।যখন আমার বই বের হতো না তখন -ও আমি মেলায় হাজির থাকতাম টেলিভিশনের চ্যানেলের মাধ্যমে।ডালাসে টিভির সামনে বাসে বসেই প্রতিদিন দেখতাম প্রতি টি নতুন বইয়ের নাম ও মলাট ।এখনো গিয়ে দাঁড়ানো হয়নি মেলা প্রাঙ্গনে ।জানি না কেমন লাগবে যেদিন সত্যিই গিয়ে দাঁড়াবো ওই খানে । হয়তো আমি একদিন-ই শুধু যাবো তবে নীরবে , এক একা নিজের মতন করে ঘুরে বেড়াবো পুরোটা মেলা , কেও জানবেও না যে আমিও এসেছিলাম ।
মেরিনা সঈদ ঃপাঠক আপনাকে সামনাসামনি দেখতে চায় ?
দিলরুবা আহমেদলেখা-ই হোক আমাদের একমাত্র বন্ধন।
মেরিনা সঈদঃমেলার উন্নয়নে কিছু বলবেন কি ?
দিলরুবা আহমেদআগে গিয়ে দেখি , তারপর না হয় কিছু বলবো । আসলে আমি তখনই বলবো , যখন মনে হবে আমার কথার একটা দাম থাকবে ।অযথা কাক চিলের মতন কা কা করে কি হবে !তাই না !
মেরিনা সঈদঃ বাংলা বইয়ের মেলার সম্ভাবনা প্রবাসে কেমন ?
দিলরুবা আহমেদ আমি যেখানে থাকি ডালাসে সেখানে বাংলা বইয়ের মেলা হয়নি কখনো । তবে বাঙালি রয়েছে প্রচুর , মেলা জমে যাবারই কথা।
মেরিনা সঈদঃ আপনার আগামী দিনের ইচ্ছে গুলো বলুন?
দিলরুবা আহমেদচাই আরো অনেক অনেক নতুন বই পড়তে , লিখতে । যেতে চাই প্রতি বছর দেশের বইমেলায় ।আমাজনের গভীর জঙ্গলে গাছের মাচায় ট্রি হাউস এ রাত কাটানো যাবে না আর , সেই তারুণ্য নেই যে তাই । তারপর-ও মন চায় যাই একবার কোনো বনে, নিশীথ রাতে শুনি ঝিঝি ডাক । আমার জনকের স্বপ্নের সেই মুহুরীগঞ্জ গ্রামে গিয়ে থাকি কয়টা দিন।ইচ্ছে হয়
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার রাস্তায় রাস্তায় আগের মতন ঘুরে বেড়ানোর, খুঁজবো শুমের শিশুকাল হিউজে -র অলিতে গলিতে ।গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর কাঠের কেবিনে ঘুম থেকে উঠে কফি পান করতে মন চায় প্রতি শীতে অন্তত তিন চার দিন ।আহা কি অসাধারণ হতো যদি মা-কে সাথে নিয়ে লোহিত সাগরে নৌকা করে ঘুরে বেড়াতে পারতাম ।আম্মা খুব ভয় পেতেন তাই দেখে আমি হেসে নির্ভয় দিতাম । বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো বইয়ের দোকান ‘শেক্সপিয়ার এন্ড কোম্পানি’র সামনে রাখা বেঞ্চে চুপচাপ কিছুটা সময় বসে থাকার-ও ইচ্ছে আছে ।তাজমহলের সামনেও বসে থাকতে পারলে ভালো লাগতো । এতবার নায়াগ্রা প্রপাত দেখেছি তারপর-ও মনে হয় আবারো যাবো ।মন চায় কিছু এতিম বাচ্চার হাত ধরি , কিছু ডিসএবল বাচ্চার পাশে দাড়াই , কিছু অর্টিস্টিক বাচ্চা-কে সাহায্য করার-ও খুব ইচ্ছে ।আর চাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুস্থ থাকতে।
মেরিনা সঈদ ঃ কেমন ভাবে মৃত্যু হোক চান ?
দিলরুবা আহমেদ মৃত্যুর সময় হাতে থাকুক একটি বই , আমার-ই লেখা কোনো একটি অসাধারণ বই ,আর পাশে থাকুক ইমতিয়াজ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Web Design by: SuperSoftIT.com