সদরুল আইন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিজ বাড়িতে আগমনের অম্লাণ স্মৃতি বহন করে চলেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রামের একটি পরিবার।
১৯৮৪ সাল। সদ্যই আ.লীগের সভাপতির হাল ধরা সপরিবার হারানো শেখ হাসিনা।প্রিয়জন হারানোর শোকার্ত বুকে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি ও নানাবিধ বহুমুখি ষড়যন্ত্রের সামনে আ.লীগের দায়িত্বের বোঝা মাথায় তুলে নিয়ে আগমন ঘটে শ্রীপুরে।
সেই চরম প্রতিকূলতার জীবন মরুতে দাড়িয়ে এখানকার আ.লীগের অকূতভয় সৈনিক মিজানুর রহমান খানের আহবানে শ্রীপুরে আসেন আজকের প্রধানমন্ত্রী,গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাদার অব হিউমিনিটি শেখ হাসিনা।
শ্রীপুরের জনসভা শেষ করেই তিনি চলে আসেন মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে সদলবলে।
এক বছর আগে যে স্বনির্ভর গ্রামে এসে মুগ্ধ হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সেই গ্রামের সেই পুকুর পাড়ে এসে থামে তাকে বহন করা গাড়িটি।
তিনি গাড়ি থেকে নেমে পুকুরের পাড় ধরে হেঁটে শান বাঁধানো ঘাটে এসে থামেন।কালের গর্ভে বিলীন হওয়া সেখানকার একটি গাছ থেকে নিজ হাতে আম পেড়ে খান।তারপরে যান পুকুরটির অদুরে অবস্থিত মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে।
সেখানে তিনি আহার করেন।দৃষ্টিনন্দন গ্রামের প্রকৃতির বুকে শেখ হাসিনা অনেকটা সময় অতিবাহিত করেন।এরপরও নানা রাজনৈতিক কারনে মিজানুর রহমান খানের আমন্ত্রনে তিনি শ্রীপুরে আসেন এবং যার চিত্র এখনো রয়ে গেছে শ্রীপুর আ,লীগ প্রতিষ্ঠার অনন্য পথিকৃত মিজানুর রহমান খানের পুরনো এ্যালবামে।
১৯৮৪ সালে মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে শেখ হাসিনার আগমনের চিত্র নিজ হাতে ক্যামেরার স্যালুলয়েডে বন্দি করেছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান উপজেলা আ.লীগের সদস্য আলহাজ্ব এ কে এম সাখাওয়াত হোসেন খান। এসব দূর্লভ চিত্র তিনি তার পিতার পুরনো এ্যালবাম থেকে আজ রাতে এ প্রতিবেদককে হস্তান্তর করেন।
সুদুর আমেরিকা সফরে গিয়েও মিজানুর রহমান খানের সাথে থাকা ফুলেল সম্পর্কের স্মৃতি গাজীপুর-৩ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন সবুজের বড় ভাই আকরাম হোসেন বাদশা’র কাছে একান্ত আলাপচারিতায় রোমন্হন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
জীবনের পথপরিক্রমায় মিজানুর রহমান খান আজ এ বিশ্বচরাচরে নেই।কিন্তু তার অবদানের অমর নৈবদ্যে এখনো গর্ববোধ করে শ্রীপুরবাসি আর বৈরাগীরচালা গ্রামবাসি।