শেখ হাসিনার যে অর্জনগুলি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২১

শেখ হাসিনার  যে অর্জনগুলি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে

রাজিয়া সুলতানা পিংকি

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন আজীবন লালন করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তার সেই স্বপ্নের বীজ আজ পরিণত হয়েছে সুবিশাল বটবৃক্ষে।

শেখ হাসিনার সরকার দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুসংহত করে জনসাধারণের বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের সংবিধানেও দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীকে সমাজের আর্থসামাজিক মূলধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্বের অন্তর্ভক্ত করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে গত দুই দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন – এইচএসবিসির সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চে বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০ঃ আওয়ার লং-টার্ম প্রজেকশন ফর ৭৫ কান্ট্রিজ’ শিরোনামের এ রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৬ ধাপে উন্নীত হবে; যা অন্য যেকোন দেশের তুলনায় অধিক।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ তালিকায় বাংলাদেশের পরেই ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার নাম এসেছে।
প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে উন্নত দেশ নরওয়ের চেয়েও বাংলাদেশের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও কার্যকর অর্থনৈতিক পদক্ষেপের ফলে।
শেখ হাসিনার সরকার এলক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০–২১ তথা রুপকল্প ২০২১-এ এই বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রতিফলন ও পথনির্দেশ সন্নিবেশিত হয়েছে। এ প্রতিশ্রুতির অভীষ্ট লক্ষ হল দারিদ্র্য হ্রাসে এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্জিত অগ্রগতিকে ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দারিদ্র্যের প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও তার টেকসই সমাধান। পাশাপাশি দরিদ্র জনগণ যেসব ঝুঁকিতে রয়েছে, তার প্রভাব হ্রাসের মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রাকে আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করাও এর লক্ষ্য। কেবল ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরেই সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১১ লাখ মানুষ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদন্ডেই উন্নীত হয়েছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদণ্ড অনুযায়ী এক্ষেত্রে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ – যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস সরকারের রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি ছিল একটি বড় অর্জন

২০১৯-২০ অর্থবছরে বিধবা দুস্থ নারীদের ভাতা প্রদানের জন্য বাজেট রাখা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। এ সময়ে বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগী হল ৪৪ লাখ মানুষ। চলতি বাজেটে বয়স্ক ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬৪০ কোটি টাকা। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় মাথাপিছু ৭৫০ টাকা হারে প্রদান করেছে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার প্রতিবন্ধীকে। এ খাতে চলতি বাজেটের বরাদ্দ ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জনপ্রতি
মাসিক ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা হারে প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি প্রদান করেছে এক লাখ সুবিধাভোগীকে।
গত অর্থবছরে ২০১৯-২০ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর মোট সংখ্যা ছিল ৮৬ লাখ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আটটি খাতে মোট ৭৫ লাখ মানুষকে ভাতা দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান ও পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্বের, কোন দেশ যখন এগিয়ে আসেনি আশ্রয় দানে তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান, তাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ ও অন্য বস্রের যোগান দিয়ে চলেছেন। মানবতার ইতিহাসে এ এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। এই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি আখ্যা দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিবছর বাজেটে বরাদ্দ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিশ্বের বহু উন্নত রাষ্ট্র যখন করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের চিত্র অনেকটাই সন্তোষজনক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৩ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ করোনার টিকা প্রদান শুরু করে। করোনা মোকাবিলায় সঠিকভাবে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। করোনা মোকাবিলায় তিনটি ফেইজে মোট পাঁচ ধাপে বিনামূল্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার এবং বাস্তবায়ন করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন বাংলাদেশের অবস্থা কি ছিল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সারাজীবন বাংলাদেশ এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
তিনি তাঁর জীবদ্দশায় বাংলাদেশের জন্য সংবিধান দিয়ে গিয়েছেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান রুপরেখা দিয়ে যান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বেই রুপকল্প ঘোষণা করেন-
রুপকল্প ২০২১ ২০২৫,২০৩১,২০৪১, ২১০০
সজিব ওয়াজে জয় রুপকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে রুপকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সজিব ওয়াজেদ জয়কে বলা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন ২০২১ ঘোষণা করেন। তার পূর্বে
আজ থেকে ১৩ বছর পূর্বে বাংলােশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ লাখ আর বর্তমানে ২০২১ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এর ৪ টি স্তম্ভ ঘোষণা করেন সজিব ওয়াজেদ জয়
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা
সকলের জন্য সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট
সরকারের সেবাসমূহকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে আসা
আইসিটি শিল্প গড়প তোলা

 

আইসিটি সেক্টরে ১৩ বছর পূর্বে ৫০০০০ হাজার এর কম তরুণ তরুণীদের কর্মসংসস্থান ছিল, এখন ১৫ লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে কাজ করেন আইসিটি সেক্টরে।
দুটো সাবমেরিন ক্যাবলও ৪ টি আইসিটি ক্যাবল দিয়ে ইন্টারনেটের চাহিদা মেটানো হয়। ইন্টারনেট পার এমবিএস ২৬০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কমিয়ে নিয়ে এসেছেন।
১৫০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ করোনা পেন্ডামিক সিচুয়েশনেও।
তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে।
লক্ষ লক্ষ সরকারি চাকুরিজীবীদের ডিজিটাল প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮ টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের করা মন্তব্য এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। তাঁর মতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চমকে দেবার মত সাফল্য আছে বাংলাদেশের। বিশেষত শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশুু মৃত্যুহার ও জন্মহার কমানো, গরিব মানুষের জন্য শৌচাগার ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অন্যতম।

শিক্ষাখাতে অর্জন
শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হল শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। বর্তমানে ২৬ হাজার ১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। শিক্ষার সুবিধা বঞ্চিত ও মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সাফল্য আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি। তিনি তিন হাজার মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার ৭৭৭ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করেছেন।

দেশে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।
পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল সেতু, শত শত রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ তাঁর অনন্য সেরা অবদান।

এমডিজি অর্জন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন ঘোষণা (এমডিজি) সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর এবং তা অর্জনে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, তার সফল বাস্তবায়ন ও নিবিড় পরীক্ষনের ফলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই এমডিজির অধিকাংশ অভীষ্ট সাফল্যজনকভাবে অর্জন করেছে। বিশেষত দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল, সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুমুত্যুু হার হ্রাস এবং মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের অগ্রপথিক। এর স্বীকৃতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদকেও ভূষিত করা হয়। DIPLOMA AWARD, UN MDG Awards 2010, South South Award অন্যতম।

টেকসই উন্নয়নে এসডিজি
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতি-নির্দেশনায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ, অর্থায়ন কৌশল নির্ধারণ, তথ্য উপাত্তের ঘাটতি নিরুপণ এসডিজি স্থায়ীকরণ সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিবিড় পরিবীক্ষনের ফলে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অগ্রসরমান একটি দেশ।

তাঁর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করার পথে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী ঋণের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে আমরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছি। আজকের বাংলাদেশের এই সমুদয় অগ্রগতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের মানুষের অপার ভালোবাসার কারণেই তিনি চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাজিয়া সুলতানা পিংকি : কবি, শিক্ষক ও কলামিস্ট