শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১

শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ

শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । তিনি আজ কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেব সম্পাদিত ‘উন্নয়নে উজ্জীবনে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়ে এ কথা বলেন ।

 

এসময় মন্ত্রী গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনার জন্য সৌমিত্র দেবকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ। সেকারণেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে ‘কেইস স্টাডি’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।

শ্রেষ্ঠপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ৯৬ পৃষ্ঠার ২১টি প্রবন্ধের এই সংকলনটি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেভাবে উজ্জীবিত করেছেন, সেবিষয়ে মানুষ সহজে জানতে পারবে, বলেন মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে পয়লা অক্টোবর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আগামীকাল থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তথ্যমন্ত্রী জানান, ‘যারা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি পেয়েছে ক্লিনফিডের ব্যাপারে তাদের সাথে আগস্ট মাসে বৈঠক করে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করবো। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে, কালক্ষেপণ করবে, এটি হয় না। ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কেউ দেখাতে পারে না। আর আমাদের দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠাচ্ছে না, এই অজুহাতে এখানে ক্লিনফিড চালাবে না এটা হয়না।’ পয়লা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ক্লিনফিড সম্প্রচার কার্যকর করার বিষয়টি সম্প্রতি দিল্লী সফরকালে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

সরকারের আসলে কোনো কার্যকারিতা থাকে না। বিএনপি এ ধরণের কথা গত সাড়ে ১২ বছর ধরে বলে আসছে, গত নির্বাচনের আগেও বলেছিল, পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের এটা নতুন কিছু নয়। তবে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন হচ্ছে দলের মধ্যে প্রাণসঞ্চালনের একটি বড় সুযোগ। নিজের শিরা-উপশিরাকে শুকিয়ে বিএনপি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত বিএনপিই নেবে।’