২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১
তালেবান কাবুল দখলের পর এখনো একটি সরকার গঠন করতে পারেনি। ফলে এক সপ্তাহ ধরে সরকারহীন অবস্থায় রয়েছে আফগানিস্তানের পৌনে ৪ কোটি মানুষ।
দুই দশক আগের চেয়ে অনেকটাই বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আফগানিস্তানের দণ্ডমুণ্ডের কর্তার আসন নেওয়া তালেবান অন্য সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে প্রভাবশালী বিভিন্ন আফগান নেতাদের সঙ্গে তালেবান নেতাদের বৈঠকও চলছে। তবে নানা গোত্র আর উপদলে বিভক্ত আফগানিস্তানে তা করতে গিয়েও বেগ পেতে হচ্ছে গোঁড়া এই ইসলামি দলের নেতাদের।
তালেবানবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত আহমদ মাসুদ তো হুমকিই দিয়েছেন, ক্ষমতার ভাগাভাগি ঠিকমতো না হলে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হবে।
তিন দশক আগে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধের মুখে পড়েছিল আফগানিস্তান। তার মধ্যেই মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছিল তালেবান। এর পর পাঁচ বছর তালেবান শাসনে ছিল আফগানিস্তানে। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ায় আফগানিস্তানে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর অভিযান, তাতে ক্ষমতা হারায় তালেবান।
গত দুই দশক কোণঠাসা হয়ে থাকা তালেবান আমেরিকান সৈন্যদের ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে এক মাসের মধ্যে একের পর এক শহর দখল করতে থাকে।
১৫ অগাস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে ঢুকে পড়লে পালিয়ে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। ফলে বিনাযুদ্ধেই রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। তবে কাবুল বিমানবন্দর এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দখল সম্পূর্ণ হওয়ার পর নির্বাসিত তালেবান নেতারা কাতার থেকে আফগানিস্তানে আসতে শুরু করে, যার মধ্যে রয়েছেন দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন যে তারা সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করতে চান।
তবে বিভক্ত আফগানিস্তানে সেই কাজটি বেশ কঠিন বলেই স্পষ্ট; আর সেই কঠিন কাজটিই করা শুরু করেছেন বারদার, যার স্বাক্ষরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল।
আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যম টলোনিউজ জানিয়েছে, শনিবার তালেবানের রাজনৈতিক শাখার নেতারা বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, জাতীয় পুনর্গঠন কমিশনের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।
তালেবানের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার, আবদুস সালাম হানাফি, মোল্লা খায়েরুল্লাহ খয়েরখা, আবদুর রহমান ফিদা।
তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ রবিবার টলোনিউজকে বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক শাখার নেতারা কাবুলে অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কারণ তাদের মতামতদ জানাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আলোচনা আরও চলবে জানিয়েই তিনি বলেন, ‘শিগগিরই সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
নাহজাত-ই-হামবাস্তাগি আফগানিস্তান পার্টির নেতা সৈয়দ ইশহাক গিলানি টলোনিউজকে বলেছেন, ‘আমি এই খেলাটা পছন্দ করছি না। কারণ এটা মনে হচ্ছে একজনের খেলা। সবাই নিজেদের আখের গোছাতে চাইছে, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা কেউই দেখাচ্ছে না।’
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com