সিলেটের প্রধান ও বড় মসজিগুলোতে একাধিক ঈদ জামাত

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২১

সিলেটের প্রধান ও বড় মসজিগুলোতে একাধিক ঈদ জামাত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটের প্রধান ও বড় মসজিগুলোতে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২১ জুলাই) সকালে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে মসজিদে হাজির হন। ঈদের জামাত আদায় করে করোনামুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন তারা।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। সকালেও এ বৃষ্টির ধারা অব্যাহত ছিল। এরমধ্যেই ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বিগত তিনবারের মতো এবারও সিলেট নগরের ঈদগাহগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।

 

এর আগে গত ১৮ জুলাই নগরবাসীকে ঈদগাহে না গিয়ে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন সিলেট সিটি করর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ফলে এবারও হয়নি ঈদগাহে জামাত। তবে সিলেটজুড়ে প্রায় ৫০০ মসজিদে হয়েছে ঈদের জামাত।

 

সিলেটের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে। এখানে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। একইভাবে নগরের বন্দরবাজারস্থ ঐতিহ্যবাহী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সকাল ৭টায় প্রথম, ৮টায় দ্বিতীয় ও ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

 

বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট জামে মসজিদেও তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সকাল ৮টায় প্রথম, ৯টায় দ্বিতীয় ও ১০টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ও লামাপাড়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায় একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এছাড়া হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদ, হজরত বোরহান উদ্দিন মাজার মসজিদ, কাজীরবাজার জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা ও ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এসব ঈদ জামাতে মুসল্লিরা হাজির হন। তারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে নামাজ আদায় করেন ও খুতবা শুনেন। মোনাজাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা করোনামুক্তির জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঈদ জামাত শেষে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি ও চামড়া ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেট নগরবাসী।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

March 2024
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31