১৮ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হবিগঞ্জে জনতার হাতে চোরাই মোটর সাইকেলসহ এক পুলিশ সদস্য আটক
প্রকাশিত: ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরের ভূয়া নাম্বার প্লেইটযুক্ত একটি চোরাই মোটর সাইকেলসহ এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে শহরজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পালসার কোম্পানীর (১৫০ সিসি) লাল রঙের একটি মোটর সাইকেলসহ হবিগঞ্জ আদালতের এক পুলিশ সদস্য ইমন তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার ‘ফিজা পয়েন্টে’ খেতে আসেন।
সেখানে রাস্তার পাশে ওই মোটর সাইকেলটি পার্ক করে রাখেন তিনি। মোটর সাইকেলটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন ইউসুফ আলী নামে এক ব্যাক্তি। তখন তিনি ওই মোটর সাইকেলটি তার নিজের বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজনের মাঝে তুমূল রহস্যের সৃষ্টি হলে মোটর সাইকেল নিয়ে আসা যুবক পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ফরহাদ হোসেনসহ একদল পুলিশ।
অপরদিকে কাগজপত্র যাচাই করে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ফরহাদ নিশ্চিত হন মোটর সাইকেলটির প্রকৃত মালিক মো ইউসুফ আলী। যার সঠিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর (হবিগঞ্জ ল-১১-১২২৯) কিন্তু এর পরিবর্তে ভুয়া নম্বর প্লেইট (সুনামগঞ্জ ল-১১-৮৮০৯) মোটর সাইকেলে বসিয়ে ব্যাবহার করে আসছিলেন পুলিশ সদস্য ইমন। পরে ফাঁড়ির পুলিশ প্রকৃত মালিক ইউসুফ আলীকে মোটর সাইকেলটি বুঝিয়ে দেন।
ইউসুফ আলী বলেন, মোটর সাইকেলটির মালিক তিনি। যা প্রায় ৮ মাস আগে নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়েছিল। সে সময় তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তিনি বানিয়াচং উপজেলার লামাপাড়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে।
এদিকে পুলিশ সদস্য ইমন বলেন, তিনি মোটর সাইকেলটি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের বডিগার্ডের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। তবে তার কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিরে অনেকেই বলছেন পুলিশ সদস্য ইমনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে হয়তো মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের সন্ধান পাওয়া যেত।