২৯শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২১
তাপস হালদার
২৫মার্চ বাংলাদেশের গনহত্যা দিবস।মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন কলঙ্ক জনক গনহত্যা আর দ্বিতীয়টি ঘটেনি।১৯৭১সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী রাতের অন্ধকারে সশস্ত্র অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালির উপর।এই জঘন্য গণহত্যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের চেয়ে ভয়ংকর,ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের দ্বারা পরিচালিত মাইলাই হত্যাকাণ্ডের চেয়েও নির্মম ও পাশবিক।
১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও পাকিস্তানী শাসক গোষ্টী বাঙ্গালীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করে।তারপর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণা,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’।এ ঘটনার পরেই সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সংগ্রামের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকেই সমগ্র দেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে।তখন সংকট সমাধানের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার জন্য জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ পঞ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে। কিন্তু এই আলোচনা ছিল শুধুই লোক দেখানো,এর পিছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। আলোচনার আড়ালে সময়ক্ষেপণ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য,অস্ত্র-গোলাবারুদ পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ে আসাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।পরিকল্পনা মাফিক ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া-মুজিব আলোচনা ব্যর্থ হয়। ইয়াহিয়া খান রাত ৯ টায় ঢাকা ত্যাগ করারর পরই শুরু হয় গনহত্যা।
২৫ মার্চ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে গনহত্যা চালানো হয়।তাদের লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালিদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।বেলুচিস্তানের কসাই নামে খ্যাত,গভর্নর টিক্কা খান বলেছিলেন, ‘আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই,মানুষ চাই না’।সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শুরু করে “অপারেশন সার্চলাইট” নামের এক পরিকল্পিত সামরিক অভিযান।যা ইতিহাসে ২৫ মার্চের গণহত্যা নামে স্বীকৃত।
“অপারেশন সার্চলাইট” ছিল একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা।সাংবাদিক রবার্ট পেইন তাঁর “ম্যাসাকার” বইতে লিখেছেন,১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইয়াহিয়া খান তার সামরিক অফিসারদের সাথে গনহত্যা নিয়ে মিটিং করে এবং তিনি নির্দেশ দেন ওদের (বাঙ্গালিদের) ৩ মিলিয়ন লোককে হত্যা করো। বাকিরা তোমাদের হাতে মুঠে চলে আসবে।হত্যাকান্ডের নমুনা দেখেই যাতে বাঙ্গালীরা চুপ হয়ে যায়।উক্ত বৈঠকের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ১৭ ই মার্চ ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী “অপারেশন সার্চলাইটের” পরিকল্পনা করে। অপারেশন সার্চলাইট নামক সামরিক অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা,ছাত্র নেতৃবৃন্দ,বাঙালি বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্বিচারে হত্যা অথবা গ্রেপ্তার করা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তা কঠোর হস্তে দমন করে বাঙ্গালীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া।সেজন্যই বিশ্বের জঘন্যতম হত্যাকান্ড ঘটানো হয় বাংলাদেশে। অপারেশন সার্চলাইটে ঢাকা শহর নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু সিন্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হয়।তারমধ্যে ছিল:(১)পিলখানায় অবস্থিত ২২নং বালুচ রেজিমেন্ট বিদ্রোহী ৫ হাজার বাঙালি ইপিআর সেনাকে নিরস্ত্র ও তাদের বেতার কেন্দ্র দখল করা।(২) আওয়ামী লীগের মুখ্য সশস্ত্র শক্তির উৎস রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ৩২নং পাঞ্জাব রেজিমেন্ট এক হাজার বাঙালি পুলিশকে নিরস্ত্র করা।(৩)১৮ নং পাঞ্জাব রেজিমেন্ট শহরের হিন্দু অধ্যুষিত নবাবপুর ও পুরনো ঢাকা এলাকায় আক্রমণ চালানো।(৪)২২নং বালুচ, ১৮ ও ৩২নং পাঞ্জাব রেজিমেন্টের বাছাই করা একদল সৈন্য আওয়ামী লীগের মূল শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল (জহরুল হক হল), জগন্নাথ হল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াকত হল আক্রমণ করবে।(৫)বিশেষ সার্ভিস গ্রুপের এক প্লাটুন কমান্ডো সৈন্য শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আক্রমণ ও তাঁকে গ্রেফতার করবে।(৬)ফিল্ড রেজিমেন্ট দ্বিতীয় রাজধানী ও সংশ্লিষ্ট বসতি (মোহাম্মদপুর-মিরপুর) নিয়ন্ত্রণে রাখবে।(৭)শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে এম ২৪ ট্যাংকের একটি ছোট্ট স্কোয়াড্রন আগেই রাস্তায় নামবে এবং প্রয়োজনে গোলা বর্ষণ করবে।(৮)উপর্যুক্ত সৈন্যরা রাস্তায় যেকোন প্রতিরোধ ধ্বংস করবে এবং তালিকাভুক্ত রাজনীতিবিদদের বাড়িতে অভিযান চালাবে।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ বিশ্ব বিখ্যাত পত্রিকা অস্ট্রেলিয়ার “সিডনি মর্নিং হেরাল্ড” সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে বলেছিল,সেদিন সারা দেশে এক লক্ষ লোককে হত্যা করা হয়েছিল।কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বেলুচিস্তানের কসাই খ্যাত টিক্কা খানকে। অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী পাকিস্তানী ঘাতকরা ঢাকাকে ৪টি ভাগে ভাগ করে মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,রাজার বাগ পুলিশ লাইন এবং তৎকালীন পিলখানা ইপিআর(বর্তমান বিজিপি)। ঢাকার বাইরে রাজশাহী,খুলনা,যশোর,রংপুর,সিলেট,সৈয়দপুর কুমিল্লা,চট্টগ্রাম ছিল এই অপারেশনের আওতাভূক্ত।
ঢাকার ইপিআর সদর দপ্তর পিলখানার বাঙ্গালি সৈন্যদের নিরস্ত করে এবং ইপিআর দপ্তরের ওয়্যারলেস ব্যবস্থা দখল করে ২২ বেলুচ রেজিমেন্ট।অন্যদিকে ১৮ ও ৩২ নং পাঞ্জাব ট্যাংক ও মর্টার হামলা চালায় সকল দাবী আদায়ের সংগ্রাম,মুক্তি আন্দোলনের সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভাষা আন্দোলন,ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।সেজন্যই বর্বর পাকিস্তানীদের অন্যতম টার্গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংখ্যালঘুদের ছাত্রাবাস হিসেবে পরিচিত জগন্নাথ হল পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান টার্গেটে পরিনত হয়েছিল। তবে নীলক্ষেত দিয়ে ঢুকে প্রথম আক্রমণটি করে ইকবাল হলে(বর্তমানে জহুরুল হক হল)
Tapos sent Today at 21:58
জগন্নাথ হল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াকত হল আক্রমণ করবে।(৫)বিশেষ সার্ভিস গ্রুপের এক প্লাটুন কমান্ডো সৈন্য শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আক্রমণ ও তাঁকে গ্রেফতার করবে।(৬)ফিল্ড রেজিমেন্ট দ্বিতীয় রাজধানী ও সংশ্লিষ্ট বসতি (মোহাম্মদপুর-মিরপুর) নিয়ন্ত্রণে রাখবে।(৭)শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে এম ২৪ ট্যাংকের একটি ছোট্ট স্কোয়াড্রন আগেই রাস্তায় নামবে এবং প্রয়োজনে গোলা বর্ষণ করবে।(৮)উপর্যুক্ত সৈন্যরা রাস্তায় যেকোন প্রতিরোধ ধ্বংস করবে এবং তালিকাভুক্ত রাজনীতিবিদদের বাড়িতে অভিযান চালাবে।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ বিশ্ব বিখ্যাত পত্রিকা অস্ট্রেলিয়ার “সিডনি মর্নিং হেরাল্ড” সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে বলেছিল,সেদিন সারা দেশে এক লক্ষ লোককে হত্যা করা হয়েছিল।কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বেলুচিস্তানের কসাই খ্যাত টিক্কা খানকে। অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী পাকিস্তানী ঘাতকরা ঢাকাকে ৪টি ভাগে ভাগ করে মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস,রাজার বাগ পুলিশ লাইন এবং তৎকালীন পিলখানা ইপিআর(বর্তমান বিজিপি)। ঢাকার বাইরে রাজশাহী,খুলনা,যশোর,রংপুর,সিলেট,সৈয়দপুর কুমিল্লা,চট্টগ্রাম ছিল এই অপারেশনের আওতাভূক্ত।
ঢাকার ইপিআর সদর দপ্তর পিলখানার বাঙ্গালি সৈন্যদের নিরস্ত করে এবং ইপিআর দপ্তরের ওয়্যারলেস ব্যবস্থা দখল করে ২২ বেলুচ রেজিমেন্ট।অন্যদিকে ১৮ ও ৩২ নং পাঞ্জাব ট্যাংক ও মর্টার হামলা চালায় সকল দাবী আদায়ের সংগ্রাম,মুক্তি আন্দোলনের সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ভাষা আন্দোলন,ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।সেজন্যই বর্বর পাকিস্তানীদের অন্যতম টার্গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংখ্যালঘুদের ছাত্রাবাস হিসেবে পরিচিত জগন্নাথ হল পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান টার্গেটে পরিনত হয়েছিল। তবে নীলক্ষেত দিয়ে ঢুকে প্রথম আক্রমণটি করে ইকবাল হলে(বর্তমানে জহুরুল হক হল)। অসহযোগ আন্দোলন মূলত গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের(জহুরুল হক) “স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ”কে কেন্দ্র করে।প্রথমেই এই হলে আক্রমণ করে কমবেশি দুইশ জন ছাত্রকে হত্যা করা হয়। তারপরই বর্বোরচিত হামলা করে জগন্নাথ হলে।প্রথম আঘাতেই মারা যায় ৩৪ জন। তারপর সারা রাত ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে ছয়শ থেকে সাতশ ছাত্র শিক্ষক কর্মচারীকে।পরিনত হয় শ্মসান ভূমিতে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই নৃশংস গণহত্যার নেতৃত্ব দেয় ৩২ রেজিমেন্টের ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব।ছাত্রী নিবাস রোকেয়া হলও আক্রমনের শিকার হয়।।এতে প্রায় তিনশ জন ছাত্রীকে হত্যা করা হয়।এছাড়াও হানাদার বাহিনীর আক্রোশের শিকার হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রমনা কালীমন্দির,গুরুদুয়ারা নানকশাহী মন্দির, শিব বাড়ি মন্দির সহ অসংখ্য স্থাপনা।সেদিনই হত্যা করা হয়েছিল ডক্টর গোবিন্দচন্দ্র দেব,ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা,অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য,ডঃ মনিরুজ্জামান সহ বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন বরেণ্য কীর্তিমান শিক্ষক বৃন্দদেরকে।নরপশুদের এই সশস্ত্র অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির সংগ্রামকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করা।
রাজারবাগে গ্যাসোলিন ছিটিয়ে আগুনে ভস্মীভূত করা হয় পুলিশ সদর দপ্তর।সমগ্র ব্যারাক জ্বালিয়ে ধ্বংশ করা হয়েছিল।বাংলা মায়ের পুলিশ সদস্যরাই হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।১১শ’য়ের বেশি পুলিশ সদস্যদের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সেদিনের সদর দপ্তর।মধ্য রাতেই ঢাকা লাশের নগরীতে পরিনত হয়েছিল।অন্যান্য বড় শহর গুলোতেও একই কায়দায় গনহত্যা ও ধ্বংশলীলা চালায় পাকিস্তানী সামরিক জান্তারা।
একদিকে যখন গনহত্যা চলছিল ঠিক সেই সময় রাত ১.৩০ মিনিটে গ্রেফতার করা হয় বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন এবং যেকোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও চুড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস,১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস,১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ৫২ এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কিন্তু সেই ভয়াল রাতের কথা সেভাবে এতদিন স্মরণ করা হত না।অথচ ২৫ মার্চই ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গনহত্যা।স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১১ মার্চ ২০১৭ সালে মহান জাতীয় সংসদে গনহত্যা দিবস সংক্রান্ত বিলটি সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়।২০ মার্চ এটিকে মন্ত্রীসভা অনুমোদন দেয়।যার ফলে বাংলাদেশে এখন ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস হিসেবে পালন হয়ে থাকে।কেবলমাত্র গণহত্যা দিবসটি দেশের মধ্যে সীমাবন্ধ না রেখে এই বর্বোরচিত গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।সরকারের পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এই দাবী আদায়ে এগিয়ে আসতে হবে।আর্মেনিয়া, রুয়ান্ডা,কম্বোডিয়া,সিয়েরা লিওন,বসনিয়ার মতো বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হবে,এটাই এখন সময়ের দাবি।
লেখক: সদস্য,সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা।
ইমেইল:haldertapas80@gmail.com
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com