
তাফহীমুল আনাম:
কক্সবাজারের মহেশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধার ঘোনা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোন রকম বাড়ীর ঘুমন্ত সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পেলেও শেষ রক্ষা হলোনা বাড়ি-ঘর, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ-অর্থ, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু আহমদ।
জানা যায়, পুরো যাওয়া বাড়ীঘর স্থানীয় মরহুম সিকদার মিয়া ও রাজা মিয়ার সন্তানদের পুরানো বাড়ি ছিলো। ঠিক কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। ঘন্টা ব্যাপি আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি।
ভুক্তভোগী আহমেদ উল্লাহ, হোসেন আলীসহ আরও কয়েকজন জানান, আহমদ উল্লাহর বাড়ীতেই বিদ্যুৎ শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। একটি বাড়িতে আগুন ধরার সাথে সাথে দ্রুত আগুণের শিখা অন্য বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পার্শ্ববর্তী রফিক উল্লাহ, হোসেন আলী, শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আহমদসহ প্রায় ১০ টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৩০ ভরি স্বর্ণলঙ্কার, গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্রসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুনে পুড়ে বাপ দাদার শেষ স্মৃতি গুলো এইভাবে মুছে যাবে তা কখনো কল্পনা করিনি। প্রায় ১০ টি বাড়ি মুহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেলও ঘর থেকে কিছুই নিয়ে বের হতে পারেনি। মহেশখালীর উত্তরে একটা ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন কতটুকু সেটা দয়াকরে উপলব্ধি করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কালার মার ছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, আগুনে পোড়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ভুক্তভোগী পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা করা হবে পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারদের সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।