জন্মদিনে এখন আর সারপ্রাইজ থাকে না ঃ দিলরুবা আহমেদ

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

জন্মদিনে এখন আর সারপ্রাইজ থাকে না ঃ দিলরুবা আহমেদ

লিটন হোসেন জিহাদ 

 

প্রখ্যাত কথাশিল্পী দিলরুবা আহমেদ এর জন্মদিন আজ । প্রবাসভিত্তিক গল্প উপন্যাস লিখে উনি ইতিমধ্যে-ই তুমুল জনপ্রিয় দেশে এবং বিদেশে । জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোয়েট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সৌমিত্র দেব ।
প্রবাসে জন্মদিন কতটুকু সারপ্রাইস নিয়ে আসে জানতে চাইলে দিলরুবা আহমেদ বলেন , এখানে এখন আর সারপ্রাইজ থাকে না ।নভেম্বর আসতেই বিভিন্ন স্টোর, ব্যাঙ্ক , খাবারের দোকান থেকে গিফট কার্ড আসতে থাকে ।হয়তোবা আগে গিয়েছি কখনো ওই জায়গায় তারা  ক্রেডিট  বা ডেভিড কার্ডের সূত্র ধরে জন্মদিন বের করে বলে পাঠায় জন্ম মাসের যে কোন দিন গেলেই ৩০%বা ৪০%কমে এটা ওটা সেটা কত কি কিনতে পারবো । মজাই লাগে । মাস ব্যাপী জন্ম উৎসব চলে বলা যায় ।তাই ঠিক ১৩ তারিখে হঠাৎ মনে করিয়ে দিয়ে কেও সারপ্রাইস দিতে পারে না ।আর বরাবর-ই আমার জন্মদিনটা আমার মনে থাকে , প্রিয়-ও খুব , তাই সুযোগ থাকে না কার-ও চমকে দেওয়ার জন্য ।আজকাল তো রয়েছে ফেইসবুক, তাই আগাম জানান সবাই পায় ।যে ভুলে যায় তাকেও মনে করিয়ে দেয় আজ তার তার তার জন্মদিন , তারপরে তড়িঘড়ি করে স্ট্যাম্প মারার মতন ১০ জনকে কপি পেস্ট করে একই শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয় ।আমার মনে হয় এক সময় এই আমরাই দাবি তুলবো এই মনে করিয়ে না দেবার জন্য ।কেও একজন মন থেকে মনে করেই কোনো এক সকালে বা মাঝরাতে আমাকে টোকা দেবে এটাই তো অনেক পাওয়া। যে টা এখন আর নেই ।ভাগ্য ভালো আমার বরের ফেইসবুক নেই ।তাই নিজ দায়িত্বে তাকে মনে রাখতে হয়, না হলে ভাত বন্ধ ।তবে সে মনে রাখে ,এটা ভালো লাগে।

দিলরুবা আহমেদ আরো বলেন ,প্রতিবছর জন্মদিনে আমার অফিস কিউব বেলুন দিয়ে সাজিয়ে একটা গিফট দিয়ে যায় বস ।এবছর তো পেন্ডামীক , বাসা থেকে অফিস করি তাই বস বেচে গেলো , অফিস সাজাতে হবে না আমাকে সারপ্রাইজে দেবার জন্য । আমেরিকার যে শহরে আমি থাকি ডালাস সেখানে আমার অনেক বন্ধু আছেন তারা সব সময় আমার জন্মদিনকে উদযাপন করে বা করতে চায় ।এটা আনন্দের ।প্রবাস জীবনে ভালো বন্ধু পাওয়া এবং থাকা খুব জরুরী ।এদিক দিয়ে-ও আমি ভাগ্যবতী ।
দিলরুবা আহমেদ নিয়মিত পত্রপত্রিকায় লিখে যাচ্ছেন গল্প উপন্যাস । অনলাইন পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে তার  সব গল্পই সর্বাধিক পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে ।নতুন যে উপন্যাস নিয়ে কাজ করছেন সেটি-ও আমেরিকার পটভূমিতে রচিত ।নাম “উইপিং উইল ও নিহা “।
ওনার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাউন গার্লস, গ্রিনকার্ড, টেক্সান রানী ও ব্লু বনেট ,টেক্সাস টক, আমার ঘরে এসো, আঠার, ঝুমকালতার সারাটা দিন, হেঁটে চলেছি বন জোছনায়, মাছের মায়ের পুত্র শোক, এসো হাত ধরো, বলেছিল, প্রবাসী ইতাদি ।
দিলরুবা আহমেদের আরো প্রচুর লিখে যাবেন এই প্রত্যাশা পাঠকের ও প্রকাশকের ।