সিনিয়র রিপোর্টার:
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা উদযাপিত হয় আজ (৬ অক্টোবর) সোমবার লক্ষী পূজা । হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে লক্ষ্মী ধন-সম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস এবং সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। দেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় নানা আয়োজনে এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করবে।
লক্ষ্মী দেবী দ্বিভূজা ও তাঁর বাহন পেঁচা। তাঁর হাতে থাকে শস্যের ভাণ্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। এই পূজায় প্রয়োজন হয় ধানের শীষ, কাঁচা সুপারি, কলাপাতা, কলা গাছের খোল, আলপনাসহ নানা সামগ্রী। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গেই গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাবে চালের গুঁড়ো, আলপনায় মা লক্ষ্মীর ছাপ। বাড়ির প্রবেশপথেও মা লক্ষ্মীর পা আঁকা হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী অর্থ ‘কে জেগে আছো’। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে। দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দেবী ‘কে জেগে আছো’– প্রশ্ন করেন। তাই লক্ষ্মীপূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজাও।
লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে আজ সারাদেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হবে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির এবং পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজার বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর শক্তি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জাগ্রত হয়ে ওঠে শারদীয় দুর্গা উৎসবের পর প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে। তাই এ পূর্ণিমাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে।
কোজাগরী শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘কঃ জাগর’ বা ‘কো জাগতি’ থেকে এসেছে। যেটির বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘কে জেগে আছো’।
লক্ষ্মী পূজায় রাত্রি জাগরণ করা হয়। শাস্ত্র মতে এই রাতে লক্ষ্মী সবার বাড়ি যান। যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে লক্ষ্মী ফিরে আসেন। এ কারণে এই লক্ষ্মী পূজাকে কোজাগরী বলা হয় এবং রাত্রি জাগরণের নিয়ম রয়েছে। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে ঘরেই দেবি লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে। গৃহস্থরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পূজা করেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.