মো: জাফর ইকবাল:
মৌলভীবাজারের জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হাইল হাওর শাপলা ফুল দেখতে হাজার মাইল দূর থেকে ছুটে আসেন ভ্রমন পিপাসুরা । ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া দূর্লভ তাও যদি হয় লক্ষ লক্ষ শাপলা তাহলে কার না ইচ্ছে হবে এই সৌন্দর্য উপভোগ করার ।
এ যেন প্রকৃতির নিপুণ আঁচড়ে আঁকা এক বিস্তীর্ণ জলরূপ। ভোরের আলোয় হাওরের বুকে ভেসে ওঠে লক্ষাধিক শাপলার সমাহার দূর থেকে মনে হয় পানির ওপর কেউ পেতে রেখেছে অনন্ত লালের গালিচার চাদর। এই অদ্ভুত মোহময় দৃশ্য এখন প্রতিদিনই টেনে আনছে দেশের নানা প্রান্তের প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু মানুষকে।
যে শাপলার সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা এর মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটকরাই সেই ফুল ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাসায় আবার কেউবা ছিড়ে ফেলে দিচ্ছেন যেখানে সেখানে । যার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা বিলের সৌন্দর্য । প্রায় ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত ১৪টি বিল নিয়ে গঠিত সুবিশাল হাইল হাওরের সানন্দা বিল সম্প্রতি পরিচিত হয়েছে “শাপলা বিল” নামে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকা শাপলার বিপুল সমাবেশ মনকে আচ্ছন্ন করে দেয় রঙের কোমলতা আর প্রকৃতির বিশুদ্ধ আবেশে। যত দূর চোখ যায়, ততো দূর পর্যন্ত দেখা যায় ফুটন্ত শাপলা। বিলটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।
শ্রীমঙ্গল থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সজিব বসু বলেন , এই শাপলা বিলে প্রতি বছর বোর ধান চাষ করা হয় যার ফলে এই শাপলা ফুল কেটে ফেলে দেওয়া হয় । যদি ও ধান চাষ করতে আরো একমাস বাকি তাই আমাদের সবার দায়িত্ব এই সৌন্দর্য রক্ষা করা ও সবাইকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া । তাই আমাদের উচিত এই ফুলগুলা না ছিড়া।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন , আমাদের এই শাপলা বিলকে দেখতে প্রতি দিন হাজারো মানুষ এখানে আসনে যার ফলে আমরা অনেক আনন্দিত কিন্তু হাওড়ে যাওয়ার যে রাস্তা সেটি খুব খারাপ অবস্থা যার ফলে অনেক মানুষকে দূর থেকে পায়ে হেটে যেতে হয় । রাস্তা ভালো না হওয়ার কারনে অনেকে আমাদের বাড়িতে গাড়ি ,মোটরবাইক সহ অন্যান্য যানবাহন রেখে ঘুরতে যান । ফলে আমাদের অনেক অসুবিধা হয় । তাই আমরা চাই হাওরের পাকা রাস্তা হোক।
হাওরের মাঝি রাসেল বলেন, আমরা খুব অল্প টাকায় নৌকা দিয়ে পর্যটকদের শাপলা বিল দেখার সুযোগ করে দেই । যার ফলে আমাদের বাড়তি কিছু আয় ও হয় । আমরা চাই সবাই যাতে আমাদের এই শাপলা বিল ঘুরে দেখে যায়।
মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, আমি আমার পক্ষ থেকে শাপলা বিলের যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তার জন্য ইউওন ও সড়ক বিভেগের সাথে কথা বলেছি । তিনি আরো বলেন, পর্যটকরা যেন এই শাপলা বিল ঘুরতে এসে এমন কিছু না করেন যাতে আমাদের এই বিলের সৌন্দর্য নষ্ট হয় ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.