প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১২, ২০২৫, ৭:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১২, ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ণ

সিলেট ডেস্ক:
শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা। রাজপুত্র সিদ্ধার্থের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণ-এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই পূণ্যময় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির পূণ্যভূমি
সিলেটে ১১ মে ২০২৫ খ্রি. রবিবার, ২৫৬৯ বুদ্ধবর্ষ বরণ যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল'র উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে ২৫৬৯ বুদ্ধ পূর্ণিমা ও শাস্তি শোভাযাত্রা ২০২৫ সিলেট মহানগরীর দরগাহ গেইটস্থ মুসলিম সাহিত্য সংসদ হলে অনুষ্ঠিত হয় ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আদিবাসী, মুসলমান আমরা মিলেমিশে বসবাস করি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই মাতৃভূমি সবার, এখানে সবার সম অধিকার রয়েছে। প্রত্যের ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজেদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। তাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত।
রোববার সকালে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চলের আয়োজনে নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে ২৫৬৯ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রা পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বৌদ্ধ পূর্নিমা উপলক্ষে সকল বৌদ্ধধর্মালম্বীদেরকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।
আলোচনা সভা ও শান্তি শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র (১) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, অহিংসাই পরম ধর্ম। এটি শুধু বৌদ্ধ ধর্মেই নয়, সকল ধর্মই এই আদর্শকে বিশ্বাস করে। আজ পুরো পৃথিবীরজুড়ে মারামারি হানাহানি হচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস- প্রতিটি ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্মকে সঠিক ভাবে হৃদয়ে লালন করলে সমাজ থেকে হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উৎফল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক দিলু বড়ুয়া সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলাধীন পশ্চিম আধার মানিক সার্বজনীন সম্বোধি বিহারের অধ্যক্ষ, অগ্রসার বৌদ্ধ অনাথালয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভদন্ত সুপ্রিয়ানন্দ থের এবং মধ্যম আধার মানিক সার্বজনীন লুম্বিনী বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত শরনানন্দ ভিক্ষু।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক পূণ্যভুমির সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরী ও সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার।
আলোচনা সভা শেষে একটি শান্তি শোভাযাত্রা কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকে শুরু সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ শেষে আবারো কেমুসাসে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর উপদেষ্টা ও বুদ্ধ পূর্ণিমার উদযাপন পরিষদ এর আহবায়ক তপন কান্তি বড়ুয়া মান্না, উদযাপন পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক অংশু মারমা, সচিব অধ্যাপক বরন চৌধুরী,উপদেষ্ঠা সাধন কুমার চাকমা, সহ সভাপতি শিমুল মুৎসুদ্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক সেবু বড়ুয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের বিশ্বশান্তি কামনায় মঙ্গল সুত্র পাঠ, সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পুজা ও ধর্মদেশনা। প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর সভাপতি লিটন বড়ুয়া। পঞ্চশীল প্রার্থণা করেন মিটন বড়ুয়া। উক্ত অনুষ্ঠানে মা দিবসকে কেন্দ্র করে মেনকা চাকমা (মরণোত্তর) ও অর্চ্চনা চৌধুরীকে মাতৃ সম্মাননা দেওয়া হয়।