২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকাবাসী, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম ও অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে নিম্ন মাধ্যমিক হিসেবে এমপিও পেলেও এখনো পায়নি মাধ্যমিকের এমপিও। এতে বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। উর্ধ্বমুখী ভবন নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলেও শিক্ষকদের একান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত রেখায় প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, কম্পিউটার ল্যাব, অবকাঠামগত উন্নয়ন সহ মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিও এখন সময়ের দাবি।
ফলাফল বিপর্যয়ের এ সময়ে তাক লাগানো এ বিদ্যালয়ের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় বিদ্যালয়টি সমগ্র উপজেলায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে। বিদ্যালয়ের পাঠদান সহ লেখাপড়ার সার্বিক মানোন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দক্ষ ম্যানেজিং কমিটির অনন্য ভূমিকায় এলাকার সাধারণ মানুষ বেশ সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও ফলাফলের এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে স্থানীয়রা প্রত্যাশা করছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্যের মূল কারিগর হলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ। উনাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও বিষয় ভিত্তিক পরিকল্পিত পাঠদান ভালো ফলাফলে বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সাহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের বিদ্যালয় বরাবরের মত এবারও উপজেলায় প্রথম হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম, শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং অভিভাবকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় এমন ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। মাধ্যমিক এমপিও সহ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন হলে আমাদের বিদ্যালয়টি উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্বে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার বলেন, হাজী সোনা মিয়া আপ্তারুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত হলেও প্রতিবছর ভালো ফলাফল অর্জন করছে। বিদ্যালয়টি এবছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় সেরা ফলাফল অর্জন করেছে। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে বার বার ভালো ফলাফল অর্জন করা এ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপজেলা শিক্ষা অফিস ওই বিদ্যালয়ের পাশে থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এ উপজেলায় আশানুরূপ ফলাফল না হলেও হাজী সোনা মিয়া আপ্তারুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারো ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। এ বিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করবে।