অনলাইন ডেস্ক:
ভাঙ্গার আন্দোলনের প্রভাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে তীব্র যানজট, ফেরিতে উঠতে সময় লাগছে ১২ ঘণ্টা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের কারণে দেশের অন্যতম ব্যস্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে হঠাৎ করে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। এতে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট, ফেরিতে উঠতে লাগছে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের কারণে রাজধানীমুখী যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এখন বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহার করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত ও ঘাট সংকট। সব মিলিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে তিন কিলোমিটারজুড়ে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক। যাত্রীবাহী বাসের সারি জমেছে আরও দেড় কিলোমিটারজুড়ে।
ট্রাকচালক মো. মন্টু মিয়া বলেন, “সোমবার রাত ১২টার দিকে এসেছি। এখনো ফেরির নাগাল পাইনি। কেউ বলতে পারছে না, আর কতক্ষণ লাগবে।”
একইভাবে রয়েল পরিবহনের যাত্রী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, “দুপুর ১২টায় এসেছি, এখনও আড়াই ঘণ্টা কেটে গেছে, কিন্তু ফেরিতে উঠতে পারিনি। বাসে একজন অসুস্থ মানুষ ও বিদেশগামী যাত্রীও আছেন। অনেকেই বাস থেকে নেমে অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।”
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়ার সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমানে মাত্র একটি (৪ নম্বর) ঘাট সচল রয়েছে। ১, ২, ৫ ও ৬ নম্বর ঘাট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ৭ নম্বর ঘাট গত ২৩ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে পলি জমে যাওয়ায়। ৩ নম্বর ঘাট ফেরির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে মেরামতের আওতায়।
ফলে মাত্র একটি ঘাট দিয়ে সব যানবাহন পারাপার করাতে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। এর মধ্যে পদ্মা নদীর স্রোত আরও জটিলতা বাড়িয়েছে, কারণ ফেরিগুলোর প্রতিটি ট্রিপে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আলিম দাইয়ান বলেন, “বর্তমানে মাত্র একটি ঘাট সচল। পন্টুন মেরামত শেষ হলে ঘাট স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছি।”
সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, “ফরিদপুরের আন্দোলনের কারণে হঠাৎ করে এই রুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।”
পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে তারপরও ভোগান্তি কাটছে না যাত্রী ও চালকদের।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.