আজ শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ব্যাংক প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ব্যাংক চলবে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে। যেখানে ঋণ নিতে জামানত লাগবে না। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেয়া।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে আমরা এমন পর্যায়ে এসেছি, এটা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন.... এটা এখন এনজিও। এনজিও থেকে উত্তরণ হতে হবে। এনজিও পর্যায়ে গেলে এটা ঠিক ব্যাংকিং মেজাজে আসবে না। মেজাজ আসতে গেলে তাকে ব্যাংক হতে হবে। মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক নামে একটা আইন করতে হবে। এটা নতুন একটা ব্যাংক হতে হবে। এটা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি করতে পারে।
তিনি বলেন, তারা সদস্যদের সঞ্চয় নিতে পারে, বাইরের কারো ডিপোজিট নিতে পারে না। এটা তাদের সীমাবদ্ধতা। এর কারণে তার অন্যের কাছে হাত পাততে হয়, দায়বদ্ধ হতে হয়, কেন হবে? সে এতো সুন্দর ব্যাংকিং করে, আরেকজনের কাছে হাত পেতে কেন করবে? তার মধ্যে কি অভাব আছে? যেটা সমবায় ব্যাংকের ছিল। সমবায় ব্যাংককে আপনারা ব্যাংক বলছেন, মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংককে আপনারা ব্যাংক বলবেন না? তাকে সেই অধিকার দেবেন না, কী কী পাস করতে হবে তাকে এটা করার জন্য? সে তো সবকিছু পাস করে এসেছে। কাজেই আমার মনে হয় সময় এসেছে, মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক আইন করার।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকের জন্য লাইসেন্স দেবো তখন পরিষ্কার বলতে হবে যে, এই কাজের জন্য আপনাকে ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হবে সামাজিক বাণিজ্যের ব্যাংক, সামাজিক ব্যবসার ব্যাংক। আইনের মধ্যেই থাকবে যে এটা হচ্ছে সামাজিক বাণিজ্যিক ব্যাংক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রো ক্রেডিট সৃষ্টি হওয়ার মূলে ছিল এটা আইডিয়া, মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সরঞ্জাম তার হাতে তুলে দেব। বিনিয়োগের টাকা পেলে মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নিজের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস আরো বলেন, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা কেউ টাকা মেরে চলে যায়নি। অথচ প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক হাওয়া হয়ে গেছে। ব্যাংকের টাকা নিয়ে অনেকে উধাও হয়েছে। তাই আমাদের এখন প্রকৃত ব্যাংকের দিকে নজর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.