অনলাইন ডেস্ক:
যশোর, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (শনিবার):টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আজ শনিবার যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমের প্রথম এই মৃদু শৈতপ্রবাহে যশোর অঞ্চলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঘরের বাইরে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
তবে সকাল ৯টার দিকে সূর্যের আলো ওঠার পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তখন পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হয়ে আসে।
শৈতপ্রবাহের কারণে শহরাঞ্চলে সন্ধ্যার পরপরই বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। শ্রমজীবী মানুষ ভোরে কাজে বের হতে না পারলেও কুয়াশা কমে গেলে সূর্যের আলো দৃশ্যমান হওয়ার পর তারা শহরে বের হচ্ছেন।
জেলা শহরের লালদীঘী পাড়ে প্রতিদিন ভোরে তিন থেকে চারশ’ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে সেই সংখ্যা এখন অর্ধেকে নেমে এসছে।
সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতকালে এমনিতে কাজ কম থাকে। একদিন কাজ পাইতো তিনদিন পাই না। তারপরও এই শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থাকি, কেউ যদি কাজে নেয় সেই আশায়’।
শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মিনহাজ বলেন, ‘শীতে বাইরে বেরোতেই কষ্ট হচ্ছে। তারপরও কাজের সন্ধানে বের হয়েছি, কিন্তু কাজ পাচ্ছি না’।
শংকরপুর এলাকার নজরুল ইসলাম বিল্ডিংয়ে রংয়ের কাজ করেন। বললেন, ‘পেটের দায়ে কাজের সন্ধানে এই শীতের মধ্যেও বের হয়েছি, কাজ পাব কিনা জানি না’।
রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, ‘শীত-কুয়াশার মধ্যে ভোর বেলায় রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু রাস্তাঘাট ফাঁকা, লোকজন নেই, যাত্রী পাচ্ছি না’।বাসস
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.