গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জনসমক্ষে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যাসহ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং মূল পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ৯ আগস্ট (শনিবার) দুপুরে চৌমোহনা চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সহ-সভাপতি জোসেফ আলী চৌধুরী (দৈনিক নয়া বঙ্গবাজার)। যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ (দৈনিক আমাদের কণ্ঠ) এবং চিনু রঞ্জন তালুকদার (দৈনিক গণমুক্তি)।
সভায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী এহসান জাকারিয়া, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এহসান বিন মুজাহির, অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অঞ্জন প্রসাদ রায় চৌধুরী (দৈনিক বঙ্গজননী), দাবা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা তাওহীদ ইসলাম, মঈনুল হক (সংবাদ সারাদেশ) প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দুরুদ আহমেদ (দীপ্ত নিউজ), জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জাফর ইকবাল, আব্দুল্লাহ আহমদ (পাতাকুড়ি দেশ), মনজু বিজয় চৌধুরী (দৈনিক জনবানী), রিপন আহমদ-১ (দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ), রিপন আহমদ-২ (বাংলাদেশ সমাচার), রিপন আহমদ-৩ (চ্যানেল এস), আব্দুল মুকিত ইমরাজ (জনতার দলিল), বিকাশ দাশ (মোহনা টিভি), খালেদ আহমদ সামির (স্বাধীন বাংলা টিভি), বিজয় সাহা (দৈনিক একুশের সংবাদ), জাহেদুল ইসলাম পাপ্পু (কুলাউড়ার ডাক), নাসরিন প্রিয়া (এনআর মিডিয়া), শাহ মোঃ ফজলুর রহমান (দৈনিক আলোকিত সকাল), জুয়েল আহমদ (জে.আর. মিডিয়া), শায়েক আহমদ (দৈনিক ঘোষণা), মহসিন আহমদ (গণমুক্তি), এমরান হোসেন (দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন), সাকিব আহমদ, সাদিকুর রহমান সাব্বির (দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি), জুনেদ আহমদ (সিলেটি চ্যানেল), রকিবুল ইসলাম রকি (প্রতিদিনের কাগজ) প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকরা হত্যার শিকার হচ্ছেন, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ অধিকাংশ ঘটনায় বিচার হচ্ছে না। ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার জনসমক্ষে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। অন্যদিকে, চাঁদাবাজির ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে নগরীর সাহাপাড়া এলাকায় দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাকে মারধরের এক পর্যায়ে ইট দিয়ে আঘাত করে, অথচ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। বর্তমানে আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তোলে না, বরং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যার মূল হোতা ও সকল হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা সম্প্রতি মৌলভীবাজার শমসেরনগর রোডে ব্যবসায়ী রুবেল হত্যাকাণ্ডেরও তীব্র নিন্দা জানান এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেন।