প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ২৭, ২০২৫, ৪:০২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২৫, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
১০ দফা দাবি আদায়ে মৌলভীবাজারে চা-শ্রমিকরা

তিমির বনিক:
বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ দৈনন্দিন মজুরি, বার্ষিক ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, উৎসব বোনাস, রেশন বৃদ্ধি, ভূমির অধিকারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার চা-শ্রমিকরা।
রোববার (২৪শে আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম ও কল্যাণ উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির নেতারা।
স্মারকলিপি দেওয়ার আগে চা-শ্রমিক সংঘের নেতাকর্মীরা লাল পতাকা ও দাবিসম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে চৌমুহনা এলাকায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চা-শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরি নারায়ণ হাজরা বলেন, ‘চা-শ্রমিকরা প্রায় ২শত বছর ধরে বনের বাঘ-ভাল্লুক, সাপ-জোঁকসহ হিংস্র জীবজন্তুর সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করে চা-শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। অথচ তাদের মজুরি এখনো ন্যূনতম মানবিক মাত্রার নিচে। বর্তমানে ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক মজুরি সর্বোচ্চ ১৮৭.৪৩ টাকা, যা ছয় সদস্যের পরিবারের জন্য একেবারেই অপ্রতুল। শ্রমিকদের রেশনও সামান্য। সপ্তাহে একজনকে মাত্র ৩.২৭ কেজি চাল/আটা দেওয়া হয়। ক্ষেতের জমির জন্য অতিরিক্ত রেশন কর্তন করা হয়।’
সমাবেশে শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, চা-বাগানের শ্রমিকরা ঘর, রেশন, চিকিৎসা সুবিধার কারণে বেঁচে থাকেন। ২২২ বর্গফুটের দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘরে ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা নিয়ে বসবাস করতে হয়। রান্নাঘরও নেই। তারা বাজারদরের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, মজুরি কমিশন ঘোষিত মজুরি এবং অন্যান্য শিল্পখাতের শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে বেঁচে থাকার মতো মজুরি প্রদানের দাবি জানান।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুহেল মিয়া, হোটেল শ্রমিক নেতা সুবেল মিয়া, নারী চা-শ্রমিক নেত্রী লক্ষ্মী মনি বাকতি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ গৌড়, প্রবীণ চা-শ্রমিক নেতা স্যামুয়েল বেগম্যান, সুনীল কর, হেমরাজ লোহার প্রমুখ।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.