সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী:
একই আঙ্গিনায় মসজিদ ও মন্দির। একপাশে ধূপকাঠি অন্যপাশে আতরের সুঘ্রাণ। একপাশে মন্দিরে হিন্দু ধর্মের মানুষ করছে পূজা-অর্চনা, অন্য পাশে মসজিদে মুসলমানরা পড়ছেন নামাজ। এভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যুগ যুগ ধরে চলছে পৃথক দুটি ধর্মীয় উপাসনালয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ভূয়াই দুর্গা মণ্ডপে পূজা উদযাপনের দৃশ্যটা যেন একটু অন্যরকম। এখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ এবং হিন্দুদের পূজা অর্চনার জন্য মণ্ডপ একই আঙ্গিনায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দিরের ৪৫ বছর ধরে সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে ভূয়াই দুর্গা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন, জুড়ী থানার ওসি মোঃ মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া, ভূয়াই পূজা মন্ডপের সভাপতি পিযুষ কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রণয় দাশ, জুড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি তানজীর আহমেদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরানুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, জুড়ী থানার এসআই ইউ এম ইমন, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের জুড়ী উপজেলার আহ্বায়ক দিবাকর দাস সহ অনেকেই।
এসময় পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব তথা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমাদের সকলের মাঝে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন আছে। আমাদের মাঝে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির। এখানে নামাজের সময় মুসলমানের নামাজ পড়ছে ও নামাজের পর হিন্দু ধর্মের সকলে তাদের পূজা-অর্চনা করছে। নির্ভয়ে যাতে সকলে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.