নীলফামারীর জলঢাকায় এক সেনা সদস্যকে বেঁধে মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, হেলাল এর সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাটিং কে কেন্দ্র করে ছুটিতে আসা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মাহমুদুর রহমানকে মঙ্গলবার সকালে গোলমুন্ডা বাজারে একটি পাঠাগারের ভিতরে আটক করে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পশ্চিম
গোলমুন্ডা এলাকার একদল কিশোর গ্যাং। নির্যাতনের শিকার সেনা সদস্য একই এলাকার মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেই সেনা সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এঘটনায় নির্যাতনকারী কিশোর গ্যাং এর ৪ জনকে এলাকাবাসী আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পশ্চিম গোলমুন্ডা এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে হেলাল (২৫) ও সিহাব (৩০), একই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মেহেদী (২০)ও মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রাকিব (২২)।
পরে নির্যাতিত সেনা সদস্য মাহমুদুর রহমানের ভাই মঞ্জুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং
১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯।
এঘটনায় জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সেনা সদস্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।