প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ২:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
বাঘায় জমি নিয়ে ষাট বছরের বিরোধ নিষ্পত্তি হলো গ্রাম্য শালিসে

দোয়েল,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে জমি জমার বিরোধ আংশিক নিষ্পত্তি হয়েছে। গ্রামের মুরব্বি, জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগে বৃহস্পতিবার উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ফতিদিয়াড় গ্রামে বড় ধরনের সালিস অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৩টায় শেষ হয়।
সালিস বৈঠকে- বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপাপ্ত) আব্দুর রহমান,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল জলিল,উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন,বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রেজাউল করিম,সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দীন, বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ মাস্টার, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল হক, মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ মুকুল ও মেম্বারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ষ সময় ধরে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সালিস কমিটি আদালতের মামলার রায়,পরিমাপ, নথিপত্র ও পুরোনো দলিল যাচাই করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমির সিদ্ধান্ত দেয়।
জানা যায়, পারিবারিক উত্তরাধিকার ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে ফতিয়াদাড় গ্রামের মৃত তজিম উদ্দীনের ছেলে নাজিম উদ্দীন লাল্টুর সাথে একই গ্রামের মৃত জেকের আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামের মধ্যে প্রায় ছয় দশক ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় দফতরে অভিযোগ, থানায় জিডি ও আদালতের দ্বারস্থ হলেও বিভিন্ন জটিলতায় মামলাটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে যায়। এতে করে দুই পরিবারের সম্পর্কও দিনদিন অবনতি ঘটছিল।
শালিস সুত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দীন লাল্টু, পাচপাড়া মৌজায় প্রাপ্ত সম্পত্তির চেয়ে ২ একর ২২ শতাংশ সম্পত্তি বেশি ভোগ করছিলেন। তার প্রাপ্ত সম্পত্তি ৭ একর ২৫ শতাংশ। তিনি ভোগ করছিলেন ৯একর ৪৭ শতাংশ। তার ভোগ দখলে থাকা ২ একর ২২ শতাংশ জমি নিয়ে আরিফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আদালতের রায় ও জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে নাজিম উদ্দীন লাল্টুর ভোগ দখলে থাকা জমির মধ্যে ৭৫ শতাংশ (আড়াই বিঘা) জমি আরিফুল ইসলামকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শালিসের সভাপতি আবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান, নাজিম উদ্দীন লাল্টুর দাবির প্রেক্ষিতে আরিফুল ইসলামকে ৬৩ শতাংশ জমি সার্ভেয়ার দিয়ে বুঝে দেওয়া হয়। শালিসি রায়ের ৭৫ শতাংশ (আড়াই বিঘা) জমি বাদে অন্য জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় পরের শালিসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ােষনা দেওয়া হয়। এ মাসের ১৩ তারিখে বাকি জমি নিয়ে শালিস বসার কথা রয়েছে জানান।
পাচাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ (সার্ভেয়ার) জানান, আরিফুল ইসলামকে ৬৩ শতাংশ জমি বুঝে দেওয়া হয়েছে। নাজিম উদ্দীন লাল্টু ও আরিফুল ইসলাম শালিসি রায়ের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com
Copyright © 2025 RED TIMES. All rights reserved.