আজ বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘায় ৪ জয়িতা নারী পেলো রোকেয়া সন্মাননা ক্রেস্ট-সনদ, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নিজেদের এগিয়ে যেতে হবে-ইউএনও

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ণ
বাঘায় ৪ জয়িতা নারী পেলো রোকেয়া সন্মাননা ক্রেস্ট-সনদ, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নিজেদের এগিয়ে যেতে হবে-ইউএনও

Sharing is caring!


Manual5 Ad Code
দোয়েল,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
 ‘আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কি রূপে?’ নারী পুরুষের সমতা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠার এই তাগিদ দিয়ে নারীর জন্য লড়েছেন  মহীয়সী বেগম রোকেয়া। নারীকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর উপলব্ধি, দর্শন ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্ষণজন্মা মহীয়সী এই নারীর জন্ম ও মৃত্যুদিন ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দিবসটি  পালন করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পক্ষ ও রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাঘা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও অদম্য নারী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চার নারীদের হাতে রোকেয়া পদক ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।  উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা  বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বেগম রোকেয়া পদক’২০২৫ প্রাপ্তরা হলেন- অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারি নারী-উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামের রানু আখতারী , শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারি নারী- জোতরাঘব গ্রামের ববিতা বেগম , নির্যাতনের  দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী- নওটিকা গ্রামের শারমিন আক্তার ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদার রেখেছেন এমন নারী- মুর্শিদপুর গ্রামের আরিফা জেসমিন। সুত্রে জানা যায়,সফল জননী ক্যাটাগরিতে উপযুক্ত নারী পাওয়া যায়নি।
সভাপতির বক্তব্যকালে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন,রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তাঁর গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাঁদের ক্ষমতায়ন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াইটা এই বাংলায় রোকেয়াই শুরু করেছিলেন। তার মতোই প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সাধনা ও শ্রম দিয়ে নিজেদের এগিয়ে যেতে হবে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি বলেন, নারীমুক্তি ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারীসমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মনসুর আলীর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা  বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আকতার।
এছাড়াও নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন-মৎস্য কর্মকর্তা তহুরা হক,কাঘা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মিঞা,মিখ্ষার্থী নাফিসা নেওয়াজ। পুরস্কার জয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন জয়ীতারা। এর আগে কুরআন তেলায়াত করেন হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম ও গীতা পাঠ করেন পরিমল চন্দ্র।
উল্লেখ্য,রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে রোকেয়ার জন্ম। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি কলকাতায় মারা যান।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code