দাস সমাজের অত্যাচার অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নাম স্পার্টাকাস

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

দাস সমাজের অত্যাচার অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নাম স্পার্টাকাস

মোজাফফার বাবু

বসন্তপুরে রহমান চাষীদের বেলায় শুধু নয়।গোটা তৃতীয় বিশ্বের দেশে আমরা যদি একটু ফিরে তাকাই একই চিত্র দেখতে পাব।শ্রেনী বিভক্ত সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের কষ্টের শেষ ছিল না।শতাব্দী থেকে শতাব্দী মানুষ দুঃখ কষ্ট বঞ্চনা উৎপীড়ন নিপীড়ন অসম বন্টনের বিরুদ্ধে রক্ত ঝড়িয়েছে বারবার। দাস সমাজের লোমহর্ষক অত্যাচার তথা সাদা চামড়ার শেতাঙ্গরা যারা কালোদের মানুষ বলে মনে করত না নিগার বলে গালি দিত তাদের বিরুদ্ধে দাসদের দ্রোহের জন্ম নেয়।যার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে স্পার্টাকাস। যার নেতৃত্বে খান খান হয়ে যায় সামন্ত সমাজ।তারপরও কথা থেকে যায়। শোষণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় না দাস সমাজ। চুর্ণ বিচূর্ণ হয়েছে অক্টোপাসের বিল্ডিং। তবুও মানুষের মুক্তি আসেনি।আসছে নতুন ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। এসব ব্যবস্থায় জন্ম নেয় বিভিন্ন দানব। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ২০০ বছরের রাজত্বে শাসক ,জমিদার, তালুক,প্রবঞ্চক দালাল মোড়ল। এরা দর্শন দ্বান্দ্বিকতা,বাস্তব বাদ যেমন দুই যোগ দুই সমান চার বাস্তব বাদ তারা এ দিকে যাবে না তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।এই জন্য তারা আমজনতা
তথা অসহায় কৃষককুলকে ভুল বোঝাবে চারদিকের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করবে ভাব বাদের আলোকে।সবই কপাল লীলার বোঝা বড় দায়। অত্যাচারের যাতাকলে কূট কৌশলে প্রান্তিক চাষীরা,আম জনতারা সর্বশান্ত।তারই পরম্পরায় এইসব অতি মুনাফা লোভী দাতা সংস্থা ছলে বলে কৌশলে ভাগ্যহত কৃষককূলের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ২৫%-১০০% হারে সুদে ঋন দেয়।কৃষকরা সারা বছর ধার করে ধান উৎপাদন করে, অর্থকরী ফসল ঘরে উঠাবে ওরা ধানের মুড়ি মুড়কি বানাবে,হাসি আনন্দে দিন কাটাবে।সেই আশায় গুড়ে বালি দেয় এই অর্থ লোভীরা।দাদনের কথা বলে ঐ ফসল আয়ত্ব করে।এরা ঘরের ভিটে মাটির দলিল সব ফাকফোকর দিয়ে নিয়ে চলে যায়।অশ্রু ফেলা ছাড়া তাদের কিছু করার থাকে না।তারা সংগঠিত নয়।এরা সবাই সাম্রাজ্যবাদের তথা অত্যাচারের ক্রীড়া নায়ক।একেক সময় এরা একেক নামে আবির্ভূত হয়।যেমন জমিদার,তালুক,অসৎ ডেভেলপার।সেই রুপ যেন আকাশ থেকে আবির্ভূত হয়।বসন্তপুরে অত্যাচারী তালুকদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছে রহমান। তালুকরা তার গলার কাটা।তারা সমাজের আইন ব্যবস্থাকে বৃদ্ধা অঙ্গুলি দেখিয়ে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে তুলেছে নিজেদের স্বার্থটা আগে হাসিল করার উদ্দেশ্যে। এমন দেখা যায় যে ২ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছে , কিস্তির টাকা ঠিকমত শোধ করেছে কিন্তু ৫ বছর পরে দেখা যাবে ঐ ২ লক্ষ টাকাই বাকী পড়ে আছে।রহমান সহ হাজার হাজার কৃষক তাদের বলির পাঠা হয়।অসংগঠিত ভাবে কিছুই করার নেই ।অনুবাদ চাওক

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

May 2024
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031