রিপন শান
সেদিন ফেরার পথে বারবার ডাকছিল জননী আমার
মহাকালের গহীন থেকে কী ভীষণ হৃদয়িক সেই আহবান!
মুনশি আব্দুর রহমান মিয়া বাড়ির শাশ্বত ঘুমের দেশ
যেন নতুন করে প্রাণ পেয়েছে ভোরের হাওয়ায়…
জননীর মৃত্তিকাবৃত কবরাবয়ব জুড়ে শিশির সমাবেশ
ওতে দেখতে থাকি লাওহে মাহফুজের মুগ্ধতা বিকিরণ
মায়ের পাদদেশে বেশকিছু পাতাবাহার
বিনম্র ভদ্রতায় গজিয়েছে মাথা
মাকে ছোঁয়ার নিবিড় অনুরাগে
আলতো করে ছুয়ে দিলাম সেই পাতাবাহার…
ঘুমের দেশের জননী আমার সজীব সকাশে বলে উঠলেন-
‘মুঠি অব দা মর্নিং খুটি অব দা সারাদিন’।
মায়ের শিয়র দেশে বেশকিছু সুপোরির চারা
আদিগন্ত হৃদয় ছুঁয়ে তাকিয়ে আছে অনন্ত আকাশে
কে যেন সুধায় মোরে-‘মায়ের পেটে হৈছো বাছা, মায়েরে কও মেছাগোছা’……
সেদিন ফেরার পথে বারবার ডাকছিল জননী আমার
মহাকালের গহীন থেকে কী ভীষণ হৃদয়িক সেই আহবান!
মায়েরে বুকবাগানে একবছর দুইমাস নয়দিনের ঝিরিঝিরি শুকনো পাতাদের বিক্ষিপ্ত সম্মিলন
সেখান থেকে একগুচ্ছ পাতা নিয়ে বুকপকেট সমীকরণ
পাতাগুলো নাকে ছুলে যেন পেতে থাকি
আট বেহেশতের সুবাস…. আরশে আজিমের সওগাত
সবুজ শস্যের বুক চিরে
শিশিরজলে পা ধুয়ে ধুয়ে যখন এগুতে থাকি
ফেলে আসা দিনের শাশ্বত মিছিলে
জীবনস্মৃতির গহবর থেকে মা শুধু বলতে থাকে-
‘বাবা আমার জাদু আমার, সবসময় মনে রাখিস- অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকায়…………..।’
সেদিন ফেরার পথে বারবার ডাকছিল জননী আমার
মহাকালের গহীন থেকে কী ভীষণ হৃদয়িক সেই আহবান!