সাবেক শিক্ষক হতে ভূমিদস্যু নিবাস চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ১:৫২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২২

সাবেক শিক্ষক হতে ভূমিদস্যু নিবাস চক্রবর্তী

 

স্টাফ রিপোর্টার: শ্রী নিবাস চক্রবর্তী (৭১) বুরুঙ্গা, পোঃ বুরুঙ্গা বাজার, থানা – ওসমানীনগর, জেলাঃ সিলেট। শ্রী নিবাস চক্রবর্তী (৭১) বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষক। শিক্ষক থাকা কালীন সময় নিজ বুরুঙ্গা ইউনিয়নের ভূমি অফিস তাহার বাড়িতে থাকায় ভূমি কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে, সেই সুবাধে শ্রী নিবাস চক্রবর্তী ও তাহার ভাই মিলে তাহার বাড়ির আশপাশ ও নিরীহ প্রতিবেশীদের জায়গা জমি আত্মসাতের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতার পরিচয়ে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে এলাকায় সমালোচিত হয়েছেন।

 

বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক থাকায় তাহার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। শ্রী নিবাস চক্রবর্তী একজন মামলাবাজ লোক বলে জনসম্মুকে প্রকাশ পায় ইদানিং যখন শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে যান। দৈনিক আলোর বাংলাদেশ পত্রিকার একজন প্রতিনিধি সরেজমিনে তদন্ত করলে অনেক গোপন রহস্য বেরিয়ে আসে, শ্রী নিবাস চক্রবর্তী সিলেট কোর্টে কখনো নিজে, কখনো আপন ভাইকে দিয়ে ৫/৬ টি মামলা করান যে মামলা গুলো ভিত্তিহীন ও অসহায় প্রতিবেশীদের অত্যাচারের শামিল। ধারাবাহিক ভাবে মামলা গুলো

(১) অবমুক্তি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল – ৪৩৮/২০১৩
(২)সিনিয়র সহকারী জজ আদালত স্বত্ব মামলা – ০৬/২০১৭
(৩) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন আদালত – ৪৫/২০১৯.
(৪) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন আদালত – ৪৬/২০১৯.

 

মামলার ইস্যুতে আপন বোন সান্তনা চক্রবর্তী কে বিবাহিত উল্লেখ করেন যার তারিখ ০৭/০৭/২০১৯ইং কিন্তু নিজ বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চ্যেয়ারম্যান সত্যতা যাচাইপূর্বক ঐ শ্রী নিবাস চক্রবর্তীর বোন সান্তনা চক্রবর্তী কে পরবর্তীতে ১৩/১১/২০১৯ তারিখে অবিবাহিত এবং আপন দুই ভাইয়ের সাথে বসবাস করে আসছেন বলে প্রত্যায়ন পত্র দেন। আরেকটি মামলায় ছয়জনের মৃত্যু সনদ তৈরী করেন যথাক্রমে, ১৯৫৯/১৯৬০/১৯৬১/১৯৬১/১৯৬১/১৯৬৪ ইং তারিখে কিন্তু তদন্তে জানা যায়, যাদের মৃত্যুর তারিখ ১৯৬৪ ইং পর্যন্ত উল্লেখ করেন তাদের মৃত্যুর তারিখ ভূয়া বলে কোর্ট রায় প্রদান করেন, এবং ১৯৭৪ ইং থেকে ১৯৮৭ ইং পর্যন্ত মৃত্যু বরণকারীরা দলিল করে জায়গা বিক্রি করেন এবং কোর্ট সেই দলিল গুলোকে বৈধতা দেয়, তাহলে তাদের মৃত্যু সনদ গুলো আসলেই অবৈধ বলে প্রমানিত হয়।

শ্রী নিবাস চক্রবর্তী দেবস্থান সম্পত্তি যা আজ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ব্যবহার করছেন সেই জায়গাটিও বরন্ডী  বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে সরকারী সম্পত্তী যার সাবেক খতিয়ান নং- ১, বর্তমানে খতিয়ান নং ৫৯৯, এস এ দাগ – ৩৭৫৮, বি এস – ৪২৩২ কে নিজের আওতায় নিয়ে আসার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন শ্রী নিবাস চক্রবর্তী । শিক্ষকতার পরিচয়ে ভদ্র ও শিক্ষিত সমাজকে ভুল বুঝিয়ে আপন দুই ভাই যেন জাল জালিয়াতির মেশিনে পরিনত হতে যাচ্ছেন ।  বিবাদী অসহায় ও গরীব, হতদরিদ্র হওয়ায় তারা মামলা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ।  দৈনিক আলোর বাংলাদেশের সাথে আলাপ কালে বিবাদী পক্ষের একজন বলেন,  আমরা অসহায় ও হতদরিদ্র বিধায় শিক্ষক হিসাবে তিনি কাগজের মার পেঁচে আমাদের ক্ষতি করতে লিপ্ত রয়েছেন । তারা দুই ভাই, তাদের এসকল ভূয়া, ও মিথ্যা মামলা গুলো আমরা টাকার কারনে শক্তভাবে প্রতিবাদ করতে পারছি না।

আমরা আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনকে সকল বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করছি, আপনারা সরকার ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে আমরা কৃতার্থ হব । পরবর্তীতে প্রয়োজনে আমরা সাংবাদ সম্মেলন করে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাইবো । এবং ভূয়া কাগজ আর মিথ্যার তথ্যের বিচার আমরা সরকারের কাছে দাবী করব ।  ১৯৭৪ ইং থেকে ১৯৮৭ ইং পর্যন্ত মৃত্যু বরণকারীরা দলিল করে জায়গা বিক্রি করেন এবং কোর্ট সেই দলিল গুলোকে বৈধতা দেয়, তাহলে তাদের মৃত্যু সনদ গুলো আসলেই অবৈধ বলে প্রমানিত হয় । এর বিচার দাবী করেণ স্থানীয় এলাকাবাসি।

 

সৌজন্যে: দৈনিক আলোর বাংলাদেশ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930