প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা আর ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮

প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা আর  ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না

আর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই ফেইসবুক মনিটরিং ও ফিল্টারিংয়ের প্রযুক্তি বাংলাদেশে আনার আশাবাদ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ।

একের পর এক পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রেক্ষাপটে এবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, পরীক্ষার দিন সকালে কিছু সময়ের জন্য ফেইসবুক বন্ধ রাখার চিন্তা রয়েছে। তবে সংসদে বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

বুধবার কম্পিউটার সিটি সেন্টারে ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৮’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ওই প্রসঙ্গ তোলেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, “এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কথা বলা হয়, ফেইসবুক কখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস করে করে না, ফেইসবুকের মাধ্যমে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ফেইসবুক মনিটরিং বা ফিল্টারিংয়ের প্রযুক্তি না থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।এই জায়গাটা এই কারণে প্রকৃতপক্ষে ফেইসবুক মনিটর করা কিংবা ফিল্টার করার মতো প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। আমাদেরকে ফেইসবুকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, ফেইসবুক যদি আমাদের রেসপন্স করে তাহলে আমরা চেষ্টা করতে পারি।

আমরা সেই জায়গাটায় যাওয়ার চেষ্টা করছি যাতে ফেইসবুকের ফিল্টারিংটা করতে পারি, যাতে মনিটরিংটা করতে পারি। খারাপ জিনিসগুলো বর্জন করতে পারি, ভালো জিনিসগুলো পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারি। আামি এতটুকু প্রত্যাশা করি, আমরা ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়কালের মধ্যে সেই প্রযুক্তির দুয়ারে পৌঁছাতে পারব।

প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ছড়িয়ে দেওয়া ঠেকাতে ফেইসবুক বন্ধ করা কোনো সমাধান নয় বলে মনে করেন মোস্তাফা জব্বার।

এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবীতে এখন এমন প্রযুক্তি আছে যার মাধ্যমে ফেইসবুক যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলেও ফেইসবুক ব্যবহার করা যায়, ছেলে-মেয়ে সেই পথ জানে, আগে যথন ফেইসবুক বন্ধ ছিল তখন ফেইসবুক ব্যবহার হয়েছে।”

নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিনেই বলেছেন, আপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইন্টারনেট এবং নিরাপদ ইন্টারনেট। নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তুলতে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করছি।”

পাঁচ দিনব্যাপী এবারের মেলায় বিশেষ আয়োজন হিসেবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গেমিং জোন থাকছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের মেলায় ঢুকতে কোনো টাকা দেওয়া লাগবে না। অন্যদের জন্য মেলায় প্রবেশের টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ১০ টাকা। এই টিকেটের উপর র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে আসুস, এফারটেক, লেনেভো, এসার, ডেল, এইচপি, লজিটেক, এক্সট্রিম।

মেলার আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সিটি সেন্টারের সভাপতি তৌফিক এহেসানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইমলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশরাফ, দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

April 2024
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930