৩রা মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০১৮
নেপালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার একটি বিমান ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জনের বেশি আরোহী নিহত হয়েছেন ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা , হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে আরও ।
এর আগে বিএস-২১১ মডেলের ওই বিমানটি বেলা ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় বিমানটিতে ৪ জন ক্রু ছিলেন।
ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা জানান, বিমানটির আরোহীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু। যাত্রীদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালি, ৩২ জন বাংলাদেশি, মালদ্বীপ ও চীনের আছেন একজন করে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের একটি খেলার মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ছবি: কাঠমান্ডু পোস্ট
নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, ১২ মার্চ, সোমবার স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি অবতরণের সময় স্থানীয় একটি ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
প্রেমনাথ ঠাকুর নামে বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি থেকে আহত অবস্থায় ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে ও সিনামানগালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত দুই যাত্রীর পরিচয় পাওয়ায় গেছে। তারা হলেন-বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উম্মে সালিমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরী।
বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি থেকে দুর্গতদের উদ্ধারে নেপালের সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে, বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট।
এ দিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্ম অলি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে উপস্থিত রয়েছেন। কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবরে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্তত দুই ঘণ্টা পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা সবাই নিহত হয়েছেন। ১৩ জনই নেপালের নাগরিক। কলেজের ছুটিতে নিজেদের দেশে যাচ্ছিলেন তারা।
বিমানে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী হলেন—সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি। রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালি শিক্ষার্থী উশমা মাইনালি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই ১৩ জনের নাম জানিয়েছেন।
এদের সবারই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ হোসেন।
তিনি জানান, নিহতরা সবাই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের দেশ নেপালে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ও ২ জন ছেলে শিক্ষার্থী।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ানিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানা কবির হাসি আহত হয়ে আইসিইউতে আছেন। ব্যক্তিগত কাজে নেপালে যাচ্ছিলেন তিনি। ইউএস-বাংলার ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন ইমরানা ও তার স্বামী রাকিবুল ইসলাম। বিষয়টি জানিয়েছেন রুয়েটের কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ানিং বিভাগের প্রধান ও শহীদ আব্দুল হামিদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com