আন্দোলনের ১৯ তম দিন চলছে বিআরডিবি র

প্রকাশিত: ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

আন্দোলনের ১৯ তম দিন চলছে বিআরডিবি র

আন্দোলনের ১৯ তম দিন চলছে । রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে চাকরি আত্মীকরণ করে শতভাগ বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) ১৫টি প্রকল্পের প্রায় ৮ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। একইসাথে প্রকল্পগুলোকে সাথে নিয়ে বিআরডিবিকে বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদফতর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

২০০১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ পদগুলো স্থায়ী না হওয়ায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ দাবি না মানলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দেন তারা।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিআরডিবির প্রকল্পভূক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তারা এ আন্দোলন করছেন বলে জানান। এসময় তিন দফা দাবি পেশ করা হয়। তাদের দাবিগুলো বিআরডিবি প্রকল্প বা কর্মসূচিতে কর্মরতদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর বা আত্মীকরনের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা, প্রকল্পের সব কর্মচারির শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সমন্বয়ে বিআরডিবিকে বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদফতরে রূপান্তর করা।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম ও শারমিন সুলতানাসহ কয়েক শত কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঋণ বিতরণ করে তৃণমূল পর্যায়ে অনেক অসহায় গরিব মানুষ এখন সাবলম্বী। ঋণের মাধমে গরিব মানুষের ভাগ্য বদল হলেও এ প্রকল্পে কর্মরতদের ভাগ্যের কেনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্পে নিয়োগ দেয়ার সময় নিয়োগ পদের প্রোফাইলে বলা হয়েছিল আমাদের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে। ২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। এর বিপরীতে আমাদের কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর জন্য বলা হয়। যেসব ঋণের সুদ হার ২২ শতাংশ। এখন স্থানীয়রা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চান না, এসব ঋণের সুদ থেকে আমাদের বেতন সম্পন্ন হয় না। আমরা নতুন কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচির পরিবর্তে স্থায়ীকরণের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিআরডিবির বাস্তবায়নধীন ১৯৯৭ সালের পূর্ব গৃহীত প্রকল্প প্রায় ৮ হাজার জনবল রয়েছে। যারা মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিআরডিবির নাম পরিবর্তন করলে যেমন সচ্ছতা আসবে একইসঙ্গে কাজের গতি ফিরে পাবে। পাশাপাশি দেশের দারিদ্র বিমচনে আরও গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারবে বিআরডিবি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আমাদের বেতন-ভাতা ও চাকরিস্থায়ীকরণের জন্য প্রকল্পে আমরা আদালতের আশ্রয় নেই। আদালত মানবিক বিবেচনায় বিআরডিবির রাজস্ব বাজেটের শূন্য পদে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইভ রেডিও

Calendar

May 2024
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031