আজ শনিবার, ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিউলিপের আইনজীবীকে বাংলাদেশের মামলা সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়নি: স্কাই নিউজ

editor
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ণ
টিউলিপের আইনজীবীকে বাংলাদেশের মামলা সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়নি: স্কাই নিউজ

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সিনিয়র রিপোর্টারঃ
ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ঢাকার বাইরে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি নতুন উচ্চমানের উন্নয়ন প্রকল্পে অবৈধভাবে জমি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
 এ অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ চলতি বছরের শুরুতে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, এই লেবার এমপি ‘ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার’ করে কূটনৈতিক অঞ্চলে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি প্লট পেয়েছেন।
স্কাই নিউজের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, টিউলিপ বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র স্কাই নিউজকে জানিয়েছে, তার আইনজীবী গত সপ্তাহে প্রতিদিন আদালতে গিয়েছিলেন মামলা সম্পর্কে তথ্যের জন্য অনুরোধ করতে, কিন্তু তাকে তথ্য দেওয়া হয়নি।
দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা স্কাই নিউজকে বলেছেন, যদি এমপি ১১ আগস্ট বাংলাদেশে আদালতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
তবে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, তখন তিনি আদালতে থাকবেন না বলে বোঝা যাচ্ছে।
দুদকের কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতের আদেশ জারির সময় টিউলিপের আইনজীবী ‘আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন’।
দুদক আরও জানিয়েছে, এই আদেশটি টিউলিপ সিদ্দিক এবং অন্যদের সাথে জড়িত তিনটি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত – সবগুলোই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট।
কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য’ পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
তবে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী বলছেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে।
 টিউলিপের সঙ্গে আদালতের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বা কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তাও পাওয়া যায়নি। পূর্বাচলে তার কোনো জমির মালিকানা নেই এবং তিনি কখনো তা করেননি।’
টিউলিপের আইনজীবী আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অপপ্রচারের মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যমকে বারবার ব্রিফিং করা, আনুষ্ঠানিক আইনি চিঠিপত্রের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (ACC)-এর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় টিউলিপের সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ বা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ব্যর্থ হওয়া।
এই ধরনের আচরণ একটি ন্যায্য, আইনানুগ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মানদণ্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে বেমানান।’
তিনি বলেন, ‘এই তথ্যের আলোকে, প্রধান উপদেষ্টা এবং দুদকের জন্য এখন সময় এসেছে টিউলিপের সুনাম নষ্ট করার ও জনসেবায় তার কাজকে বাধাগ্রস্ত করার এই ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর প্রচেষ্টা বন্ধ করা।’
গত মাসে টিউলিপ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তার ‘সুনাম নষ্ট’ করার এবং ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ’ করার জন্য একটি ‘পরিকল্পিত প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ তোলেন।
জুন মাসে স্কাই নিউজের দেখা একটি আইনি চিঠিতে লেবার এমপি আরও বলেছেন, স্কাই নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূসের মন্তব্য তার ‘সুষ্ঠু তদন্তের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে’ – যার অর্থ দুর্নীতির তদন্ত বাতিল করা উচিত।
গত বছর গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ড. ইউনূস বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের ‘অনেক রেখে যাওয়া সম্পদ এখানে রয়েছে’ এবং ‘তাকে দায়ী করা উচিত’।
প্রফেসর ইউনূসের প্রেস সচিব বলেছেন, তার এবং দুদকের ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ এবং সুযোগ নেই’। ‘দুর্নীতি দমন কমিশন গুজবের ওপর নির্ভর করে না, বরং প্রামাণ্য প্রমাণ এবং সাক্ষীর সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে।’