আজ বুধবার, ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসনের বিকল্প নেই : গর্ভনর

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ণ
আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসনের বিকল্প নেই : গর্ভনর

Oplus_16908288

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেড় দশকের ব্যাংক লুটপাটের পেছনে রাজনৈতিক চাপ ও ক্ষমতার কাছে হাল ছাড়ার কারণে অনেকবার দায়ী হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনের বাইরে গাইডলাইন জারি হওয়ায় সংস্থার স্বায়ত্ত্বশাসন ক্ষুণ্ন হয়েছে।
দেড় দশকে ব্যাংক লুটপাটের অন্যতম সহায়ক হিসেবে দায়ি করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। রাজনৈতিক চাপ আর ক্ষমতার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই হার মানতে বাধ্য হয়েছে নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি।
 এমনকি ব্যবসায়ীদের দাবি পূরণে, আইনের বাইরে গিয়েও জারি করা হয়েছে একের পর এক নির্দেশনা। যাতে ক্ষুণ্ন হয়েছে সংস্থার স্বায়ত্ত্বশাসন।
এই পরিস্থিতি সংশোধনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেন।
ড. সাবেত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫ খসড়া তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে খসড়া পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসনের বিকল্প নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালীকরণে আনা পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে:
১. বোর্ডে সরকার মনোনীত সদস্য সংখ্যা কমানো।
২. গর্ভনর ও ডেপুটি গর্ভনর নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের বদলে যাবে রাষ্ট্রপতির হাতে।
৩. যে কোনো বিষয়ে গভর্নরকে জবাবদিহি করতে হবে সংসদের কাছে।
৪. চাকরির মেয়াদ ৪ বছরের পরিবর্তে হবে ৬ বছর।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার চালায়, বেসরকারী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক চালায়—এই দ্বৈতনীতি পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ক্ষমতায়ন করে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খসড়া প্রণয়ন করেছি।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ ও অনিয়ম রোধে সংশোধন আনা হচ্ছে কোম্পানি আইনেও।