আজ শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা ছাড়ছেন ১ কোটি মানুষ, ঢুকছেন ৩০ লাখ : ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

editor
প্রকাশিত জুন ৬, ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ণ
ঢাকা ছাড়ছেন ১ কোটি মানুষ, ঢুকছেন ৩০ লাখ : ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সদরুল আইনঃ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও প্রায় ১ কোটি মানুষ ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করবেন।
এমন তথ্য উল্লেখ করে এ সময় ঈদযাত্রা ও কোরবানির পশুর হাট-কেন্দ্রিক যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (৬ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ৪ থেকে ৬ জুন মহাসড়কে  ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। আগামী ১২ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়েও একই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। তবে কোরবানির পশুবাহী যানবাহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, ওষুধ, জ্বালানি, গার্মেন্টস পণ্য, পচনশীল দ্রব্য ও সারবাহী যান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রুট পারমিটবিহীন বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়া বাস টার্মিনালের বাইরে রাস্তার পাশে কোনো বাস দাঁড় করানো যাবে না; অনুমোদিত কাউন্টারের বাইরে রাস্তা থেকে যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না; ঢাকা প্রবেশ ও প্রস্থানপথে যানবাহন পার্কিং করা নিষিদ্ধ; ফিটনেসবিহীন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত বা অতিরিক্ত ধোঁয়াযুক্ত গাড়ি চলাচল করতে পারবে না এবং উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে ৪–৬ জুন একমুখী চলাচল কার্যকর থাকবে।
এছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের নির্ধারিত লেনে একমুখী চলাচল চালু থাকবে এবং বিআরটিসির বাসগুলো ঢাকায় না ঢুকে নিজ নিজ অঞ্চলের গন্তব্যে যাবে (যেমন: গাবতলী ডিপোর বাস উত্তরবঙ্গে এবং মতিঝিলের বাস পূর্বাঞ্চলে যাবে)।
ডিএমপির নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাজধানীর কিছু সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো, বনানী–আব্দুল্লাহপুর (ঢাকা-ময়মনসিংহ); যাত্রাবাড়ী–সাইনবোর্ড (ঢাকা-চট্টগ্রাম); শ্যামলী–গাবতলী (মিরপুর রোড); ফুলবাড়িয়া–বাবুবাজার ব্রিজ (ঢাকা-কেরানীগঞ্জ); যাত্রাবাড়ী–বুড়িগঙ্গা ব্রিজ (ঢাকা-মাওয়া); বসিলা ক্রসিং–বসিলা ব্রিজ এবং আব্দুল্লাহপুর–ধউর ব্রিজ।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর হাটগুলো নিয়েও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। সংস্থাটি বলছে, রাজধানীর হাটগুলোতে নির্ধারিত সীমার বাইরে সড়কে পশু কেনাবেচা বা লোড-আনলোড করা যাবে না।
এছাড়া হাটের ভেতরে নির্ধারিত স্থানে পশু লোড-আনলোড করতে হবে। পশুবাহী ট্রাকে হাটের নামসহ ব্যানার ঝোলানো বাধ্যতামূলক। মহাসড়কের পাশে কোনও পশুর হাট বসানো যাবে না।
সরু রাস্তাসংলগ্ন হাটে ছয় ফুট উঁচু দেয়াল এবং পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রাখতে হবে।  ট্রাফিক ব্যবস্থায় সহায়তার জন্য ইজারাদারদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। হাটসংলগ্ন সড়কে যানবাহন পার্কিং করা যাবে না; করলে তা ডাম্পিং করা হবে। হাট ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
একইসঙ্গে যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
সেইসঙ্গে ডিএমপি নগরবাসী, যানবাহনের চালক, হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের এই নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। যানজট ও বিশৃঙ্খলা রোধে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।