চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্যকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির মালামালসহ গ্রেফতার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ জুন ) লোহাগাড়া থানায় কর্মরত এসআই (নি.) মো.কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওয়ারেন্ট তামিল এবং মাদক উদ্ধারের নিমিত্ত বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন চুনতি বাজারে অবস্থানকালে পটিয়া থানা সূত্রে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক চেকপোস্ট স্থাপন করে উক্ত ডাকাতদের আটক করতে সক্ষম হন।
সংবাদের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই (নি.) মো. কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি বন বিভাগের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করেন। চেকপোস্ট করাকালীন এক পর্যায়ে সকাল ৮:৩০ মিনিটে একটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ (রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো-১১-৮৮৫৩) তল্লাশির সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো ১। আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম, পিতা-নুরুল আলম, সাং-পশ্চিম কাথারিয়া, থানা-বাশঁখালী, জেলা-চট্টগ্রাম। ২। ছাদেকুর রহমান, পিতা-মৃত জেবল হোসেন, সাং-ফুলতলা, ৩নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, ৩। কামাল, পিতা-মো. মাসুক, সাং-চকরিয়া বাজার পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা। ৪। কেফায়েত হোসেন, পিতা-মৃত আলমগীর ফারুক, সাং-পূর্ব বড় ভেওলা, সিকদার পাড়া, সর্বথানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
সূত্রে জানা যায় আটকৃত আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, সিঁধেল চুরিসহ অন্যান্য ধারায় ডজন খানেক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। আটক কামালের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং সিঁধেল চুরির দুইটি মামলা রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে, তারা পটিয়া থানা এলাকার ফকিরপাড়ায় ডাকাতি করে মালামালসহ কক্সবাজারের দিকে পালাচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ডাকাতি মামলা এবং লোহাগাড়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে পটিয়া থানার মামলা নং ২৫, তারিখ: ২০/০৬/২০২৫ খ্রি. ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ দন্ডবিধি ও লোহাগাড়া থানার মামলা নং ১৩, তারিখ: ১৯/০৬/২০২৫ খ্রি. ধারা- ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের 19(A) 19 (f) রুজু করা হয়েছে।