আজ মঙ্গলবার, ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা; তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

editor
প্রকাশিত আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা; তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

Oplus_16908288

Sharing is caring!

আদালত প্রতিবেদকঃ
বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে।দ
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত আছেন– জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।
এর আগে গত ৩১ জুলাই বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে গত ১ জুন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।
গত ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে রায়ে বলেন, মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ এবং তা আইনি ভিত্তিতে টেকসই নয়। আদালত আরও মন্তব্য করেন, চার্জশিট আইনত গ্রহণযোগ্য ছিল না।
এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে, ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
অনেকেই আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বহন করে কষ্টকর জীবন পার করছেন, কেউ কেউ চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।