Sharing is caring!

রেডটাইমস ডেস্ক:
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘পুঁজিবাজার উন্নত না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে। অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না।’
গত বুধবার চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুঁজিবাজারের সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা যে পরিবর্তন আশা করছেন, আমাদের কাজ করার উদ্দেশ্যও তাই। এ আলোচনাও সংস্কারের একটি অংশ। একটি দেশ ও তার সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। পুঁজিবাজার উন্নত না হলে আমাদের অর্থনীতির একটা অংশ পিছিয়ে যাবে। অর্থাৎ সামগ্রিক উন্নতি হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়নি তা নিয়ে আক্ষেপ না করে এখন কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটাই ভাবতে হবে। অনেক দেশ ২০ বছরে আমূল পরিবর্তন করলেও আমাদের ৫০ বছরেও অগ্রগতি হয়নি। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরাও পারব এ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট, আমলাতন্ত্র, কর ব্যবস্থাপনা, নীতিমালা প্রণয়ন করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। আলাদা করে দেখলে সব সমস্যা এক রকম, কিন্তু যখন একসঙ্গে দেখা হয় তখন অনেকগুলো বিষয়ে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি ও সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বর্তমান পুঁজিবাজার ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার প্রতিবন্ধকতা এবং বাজারকে গতিশীল করতে করণীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এতে উঠে আসে নীতিমালা ও প্রক্রিয়ায় সংস্কার, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সরকারি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি, বিদেশী কোম্পানির তালিকাভুক্তি সহজীকরণ, কার্যকর কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থা এবং ডেরিভেটিভ ও কমোডিটি মার্কেট চালুর প্রয়োজনীয়তা। সিএসই কর্তৃক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনে গৃহীত পদক্ষেপ এবং রিয়েল টাইম রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কাজের প্রশংসা করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ এক্সচেঞ্জ দ্রুত চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম, কেডিএস, ফারুক গ্রুপ, দৈনিক আজাদি, নাহার এগ্রো, খাতুনগঞ্জ চেম্বার, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম, বিএসএ অ্যাপারেলস, দ্য লাকি অ্যাপারেলস ও এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড।