Sharing is caring!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিগত সময়ে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সবচেয়ে বড় হামলা ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ােএক যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল এ হামলার মধ্য দিয়ে। ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করে এ হামলা করে ভারত। শনিবার (৭ জুন) যার এক মাস পূর্তি হয়।
এই আবহে ৭ জুন সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারী কর্মকর্তা ও সেনাপ্রধান এই দিবস উদযাপন করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় তিন বাহিনীকে অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন চালান কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার কাউন্টারিং গোলাবারুদ, আর্টিলারি শেল, কামিকাজে ড্রোন এবং বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, সেনাবাহিনীর তৎপরতা ও উপগ্রহ চিত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং চিনের তৈরি দুটি বড় সামরিক বিমান (সি-১৩০জে ও এসএএবি ২০০০) গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সারগোধা, রফিকি, জ্যাকোবাবাদ, নুর খান-সহ ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। এসব হামলায় দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই আক্রমণগুলিতে ১৯টি ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় সমসংখ্যক ফরাসি এসসিএএলপি সাবসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এস-৪০০ আবার একাই শত্রুপক্ষের তিনটি বিমান ভূপাতিত করেছিল।
পাকিস্তানি বিমানবাহিনী পাল্টা জবাব দিতে চিনা জেএফ-১৭ বিমান থেকে সিএম-৪০০ একেজি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে তাতে ভারতীয় বিমানঘাঁটির কোনও ক্ষতি হয়নি। সেনার হিসেব অনুযায়ী, এই অভিযানে খতম হয়েছে অন্তত ১০০ জন জঙ্গি। ইজরায়েলি এবং পোলিশ ড্রোন, এবং নৌবাহিনীও এই মিশনে সক্রিয় ছিল।
ভারতের এই হামলার জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসাস’ শুরু করেছিল, তবে মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তান হার মানতে বাধ্য হয়েছিল বলে দাবি করে ভারত।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এই নিয়ে সম্প্রতি বলেছিলেন যে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে মাথা নত করানো, তবে ভারত তাদের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিয়েছে। পেশোয়ার থেকে হায়দরাবাদ (সিন্ধু) পর্যন্ত পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারতীয় ড্রোন। চিনা এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ পাকিস্তানের এয়র ডিফেন্স সিস্টেম ভারতীয় হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানি ওয়াইআইএইচএ ড্রোন, ফতেহ-১ রকেট এবং অন্যান্য অস্ত্র হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে অথবা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলিকে ধ্বংস করেছে।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নতুন অস্ত্র কেনার অনুমোদন এবং লজিস্টিক সাপ্লাই চেইন প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে ভারতের ইঙ্গিত আভাস দিচ্ছে যে ভারত পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে চায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।