আজ শুক্রবার, ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কূটনীতিকদের অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য নিষিদ্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন

editor
প্রকাশিত জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ
কূটনীতিকদের অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য নিষিদ্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন

Oplus_16908288

Sharing is caring!

বিডি ডিজিটাল ডেস্কঃ
বিদেশি নির্বাচনের স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৭ জুলাই পাঠানো একটি ‘সংবেদনশীল’ নথিতে বিশ্বের সব মার্কিন দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশি নির্বাচনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া হবে না, যদি না তা ‘পরিষ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ’ কূটনৈতিক স্বার্থে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ তারবার্তার মাধ্যমে এই বিষয়টি সামনে আসে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই করা যাবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে ‘সুস্পষ্ট ও জরুরি’ স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেওয়া বিবৃতিও হবে সীমিত পরিসরে—বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো এবং কৌশলগত স্বার্থের উল্লেখেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে।
এছাড়া নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনের বৈধতা, স্বচ্ছতা বা গণতান্ত্রিক মান নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা যাবে না। নির্বাচনের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে হলে তা দিতে পারবেন কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বা পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। অনুমোদন ছাড়া কূটনীতিকদের কেউ এসব বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না।
রুবিওর এই বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১৩ মে রিয়াদে দেওয়া এক বক্তৃতার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে কীভাবে চলবে তা বলে দেওয়া পশ্চিমা হস্তক্ষেপকারীদের কাজ নয়।’ সেই বক্তৃতায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না, বরং কেবল যৌথ স্বার্থের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব গড়তে চায়।
এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, নতুন দৃষ্টিভঙ্গিটি ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা’র প্রতিফলন।
যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহ্যগতভাবে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রচারকে পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে দেখে এলেও ট্রাম্প প্রশাসন এ থেকে সরে এসেছে। এর আগে তারা পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার শাখাকেও পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয়, অভিযোগ করে যে সেটি তথাকথিত ‘অ্যান্টি-ওক’ নেতাদের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউরোপীয় রাজনীতিতে বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন। তারা রোমানিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশে অভিবাসনবিরোধী বা ডানপন্থী নেতাদের দমন করার অভিযোগ তুলেছেন এবং দাবি করেছেন, ‘ভুল তথ্য’ প্রতিরোধের নামে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করা হচ্ছে।