বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। আর থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগ বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নতুন বিধি কার্যকর হলে সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে এনটিআরসিএ প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে সনদ দেয়, এরপর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করে। ফলে প্রার্থীদের দুই ধাপে আবেদন করতে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা আর নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন না। এসব জটিলতা দূর করতেই সংশোধন আনা হচ্ছে।
সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, ভবিষ্যতে ‘নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি’র পরিবর্তে ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ জারি করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকেই প্রার্থীর বয়স গণনা শুরু হবে। শূন্যপদের সংখ্যা যত হবে, তার দ্বিগুণ প্রার্থীকে ভাইভায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি ৫০ হাজার পদ খালি থাকে, তবে এক লাখ প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে।
চূড়ান্ত পর্যায়ে শূন্যপদের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এতে করে কেউ যোগদান না করলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগের মতো প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা আর হবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো প্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে, যেখানে এমসিকিউ ও লিখিত দুটোই থাকবে। শেষে থাকবে ভাইভা। এতে প্রার্থীদের জন্যও বিষয়টি সহজ হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় থেকেই বয়স গণনা শুরু হবে, ফলে বয়সের বাধা থেকেও মুক্তি মিলবে।’
তিনি আরও জানান, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন এই পদ্ধতিতেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সংশোধিত বিধি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। অনুমোদন পেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করবে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই বিধি কার্যকর হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। যত শূন্যপদ, তত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ফলে নিবন্ধন পাস করে প্রার্থীদের আর দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে না।’