Sharing is caring!
মোঃ জাফর ইকবাল:
মৌলভীবাজার মাতারকাপনে এসএ খতিয়ানের মালিক হতে জমি পর পর ৩ বার ক্রয় বিক্রিয় হলেও শেষ ক্রয়কৃত মালিককে উচ্ছেদের পায়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসএ খতিয়ানের ওয়ারিশানগন দাবী করে সেটেলমেন্ট ফর্সা মোতারেক জমির মালিক তারা। এসএ খতিয়ানের ওয়ারিশানগন দলিল ও নামজারী সুত্রে জমির মালিক আব্দুল মালিককে অন্যত্র বিক্রি করার কারনে মারধোরও করেন। ক্রয় সুত্রে মালিক পারভীন আক্তারকে প্রাননাশের হুমকিসহ উচ্ছেদের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানাযায়, শামেরকোনা মৌজার, ১০২ জেএলএ এর ১০৭ নং খতিয়ানে ১৫ শতক জমির মুল মালিক আসকর উল্লা। গত ২০/০২/৮৩ ইং ২৪০০ নং দলিলে আনোয়ার মিয়া, আফজল মিয়া ও কয়েদ বানুর নিকট . ১৫শতক জমি বিক্রি করেন আসকর উল্লা। আনোয়ার মিয়া গং এর নামে ৪১৯ নাম্বার খতিয়ানে নামজারী রেকর্ড হয়।
পরবর্তীতে আনোয়ার মিয়া. ১৫ শতকের মধ্যে পুর্বাংশে. ০৪ শতক ১০/১২/১২ ইং ৩৫২৩ নং দলিল মুলে বিক্রি করেন আব্দুল মালিকের নিকট। আব্দুর মালিক ১০৫৫ নং খতিয়ান নামজারী করেন যার আর এস দাগ নং ৩২২২। আব্দুল মালিক ১৫/০৭/২৫ ইং পারভীন আক্তার নিকট দাগের পুর্বাংশে ৩৩৪৫ নং দলিল মুলে . ০৪ শতক বিক্রি করেন। পাবভীন আক্তার ২৫- ১৩১৭ আর এস খতিয়ানে রেকর্ড করেন। এরপর থেকে আসকর উল্লার উত্তরসুরী হানিফ উল্লার মেয়ের স্বামী মিলাদ মিয়া, তার ছেলে আছকর উল্লা, মেয়ে রাখনা আক্তার, রাবেয়া বেগম মিলে পারভীন আক্তারকে প্রনে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করতে থাকে। গত জুলাই মাসে কাছারী বাজার জমি বিক্রি করার কারনে আব্দুল মালিককে মারধোর করেন।
এব্যাপারে গত ১৮/১১/২৫ ইং মৌলভীবাজার জজ আদালতের নির্দেশে এডভোকেট জহরুল ইসলাম ও এডভোকেট নুরুল রহমান, এডভোকেট খালেদ আহমদ, সিসি কমিশন করেন।
এলাকার আবু সুফিয়ান মিয়া, মখলিছ মিয়া, আবাছ মিয়া, সিরাজ মিয়া বলেন, জমি এসএ রেকর্ড মালিক আছকর উল্লা . ১৫ শতক বিক্রি করেছেন। গত সেটেলমেন্ট জরিপে ভুলবশত মাঠ ফর্সায় আসকর উল্লার নামে রেকর্ড হওয়ার কারনে তারা জমি দাবী করেন। কিন্ত বিক্রি সুত্রে মালিক যারা ক্রয় করে নামজারী করেছেন। এব্যাপারে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।