আজ রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাপ দিয়ে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে: নুর

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
চাপ দিয়ে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে: নুর

Oplus_16908288

Sharing is caring!


Manual7 Ad Code
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, কিছু ব্যক্তি যোগসাজশে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন নুর।
নুরুল হক নুর দাবি করেন, ‘জনকণ্ঠ’ দখলের ন্যায় ‘মাই টিভি’ দখলেও সুপরিকল্পিতভাবে কিছু ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
 এতোদিন তারা নগদ ৫ কোটি কিংবা শেয়ার লিখে নেয়ার দেনদরবার করেছে, সমঝোতায় মিলেনি, তাই ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল মবের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুর বলেন, এই যে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে যাত্রাবাড়ী থানার ছাত্র হত্যা মামলায় আসামি করে ১ বছর পর গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।
 মামলার বাদী কি জানে এই মামলায় কাকে কাকে আসামি করা হয়েছে? তৌহিদ আফ্রিদি কিংবা তার বাবা ‘ছাত্র হত্যা’ করেছে এই মামলা প্রমাণ করতে পারবে? তাহলে কেন এই নাটক?
আফ্রিদি যদি লীগের হয়ে কিছু করে থাকে সেজন্য তাকে সুনির্দিষ্টভাবে সেসব অভিযোগে মামলা দেওয়া যেত বলে উল্লেখ করেন নুর। তিনি প্রশ্ন তুলেন, সে ধরনের মামলা না করে কেন তাকে ও তার বাবাকে যাত্রাবাড়ীর ‘ছাত্র হত্যা’র মামলায় ভিত্তিহীনভাবে আসামি করে এক বছর পর গ্রেপ্তার করানো হলো?
এই যে হঠাৎ বিপ্লবের চেতনায় দখলদার হয়ে ওঠা ‘ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল মব’ সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের চাপে প্রশাসন মাঝে মাঝে কিছু বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর প্রভাব কি প্রশাসন বা আমরা উপলব্ধি করতে পারতেছি?
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকার ফলে এ দুজনের গ্রেপ্তার দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনসহ অনেকক্ষেত্রে রেফারেন্স হবে যে, এভাবে যারা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, গণমাধ্যমের মালিক/ব্যবসায়ী/সেলিব্রিটিরাও মবের শিকার হচ্ছে।
তাদেরকেও ঢালাওভাবে আসামি করে প্রশাসন অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়রানি, মামলা বাণিজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ফলে প্রকৃত অপরাধীদেরও বেলাতেও রেফারেন্স হিসেবে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থা এগুলোকে উদাহরণ হিসেবে তাদের রিপোর্টে তুলে ধরবে (এ বিষয়টি হয়তো সাধারণ মানুষ অনেকেই বুঝবে না, তাদের জন্য বলা; মাঝে মাঝে নিশ্চয়ই দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ পশ্চিমা দেশসমূহ লীগ আমলে বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে রিপোর্ট দিতো) ব্যবহার করবে।
এসব ইস্যুতে সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়বে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যাবে দেশি-বিদেশি চাপে অনেকক্ষেত্রে সরকার/আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণে পিছপা হতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন নুর।
 তিনি বলেন, কার্যত এসব ভুল পদক্ষেপ প্রকারান্তে ফ্যাসিবাদের ফেরারই রাস্তা তৈরিতেই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সবশেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, ‘জনকণ্ঠ’ দখলের ন্যায় ‘মাই টিভি’ দখলেও যারা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এগুলো করাচ্ছে তাদের মুখোস উন্মোচন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গত ২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে সিআইডি তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (২৬ আগস্ট) আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি আন্দোলন দমনে লাইভ প্রচারে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন এবং সরকারপন্থী শক্তিকে মদদ জোগান, যার জেরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু নিহত হন।
এই মামলায় নিহতের বাবা গত বছরের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাতে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এবং তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
 গত ১৭ আগস্ট গুলশান থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code