Soical Bar

আজ বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ইজারাদারকে লাখ টাকা জরিমানা

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ণ
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ইজারাদারকে লাখ টাকা জরিমানা

Sharing is caring!

তিমির বনিক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইজারা চুক্তি লঙ্ঘন করে কটারকোনা মনু ব্রিজের পাশে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে বালু মহালের ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২রা সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের সালন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুল ইসলাম। অভিযানে কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি দল সহায়তা করেন।
সূত্র জানায়, মনু নদীতে কটারকোনা ব্রিজের পাশে বালুমহাল ইজারার নির্ধারিত স্থানের বাইরে এবং কটারকোনা ব্রিজের এক কিলোমিটারের ভেতর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ ছিল বালুমহালের বর্তমান ইজারাদার নাজমুন নাহার লিপি ও তার সহযোগী দীপক দে’র বিরুদ্ধে। এরআগে ইজারাদার বালু মহালের দখলপ্রাপ্ত হওয়ার পর স্থানীয় হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিউর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বালু উত্তোলনের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু ইজারাদার নাজমুন নাহার লিপি গং সেই সীমানা অতিক্রম করে ভেতর থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার বালু উত্তোলনরত অবস্থায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুল ইসলাম মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় ১ টি মামলায় ইজারাদার নাজমুন নাহার লিপিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদিসমূহ নির্ধারিত স্থানে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আনিছুল ইসলাম বলেন, নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বালু মহালের ইজারাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার শর্তে ইজারাদারের লোক সৈকতকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিবেশ ও সড়ক-সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়ার কটারকোনা মনু ব্রিজ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজাপুর ব্রিজ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে নদী শাসন আইন না মেনে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছিল বালু মহাল ইজারাদার নাজমুন নাহার লিপি গং। যার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে মনু কটারকোনা ও রাজাপুর ব্রিজটি। স্থানীয় লোকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমন অভিযান অব্যাহত থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা।

Follow for Regular News