আজ রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না : মান্না

editor
প্রকাশিত মার্চ ২২, ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ
আমি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না : মান্না

Sharing is caring!


Manual6 Ad Code

টাইমস নিউজ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই পর্যন্ত সাড়ে সাত মাসে আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত সেন্টিমিটার অগ্রগতি করতে পারেনি। নতুন রাজনীতির বয়ান, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনগণ আবার তাদের প্রতি সিমপ্যাথি দিতে পারে এরকম কোনও বক্তব্য দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আবার ফিরে এসে রাজনীতি নিয়ে জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে, সহসা এই সম্ভাবনাই দেখি না। আমার দুঃখটা হচ্ছে, এই আওয়ামী লীগ নিজেই আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।

শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মান্না বলেন, আমি সরাসরি কোনও বক্তব্য দিইনি। বলেছি, আওয়ামী লীগ এত বড় কী অপরাধ করেছে? আমাকে যদি কেও জিজ্ঞেস করে, আমি বলবো করেছে। কিন্তু আমি তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। কারণ ওটা একটা পলিটিক্যাল প্রস্তাব। ওটার ইমপ্লিমেন্টেশন বৈধ সব দিক থেকে।

Manual6 Ad Code

তবে আমি যা দেখছি তা হচ্ছে সরকার, বিশেষ করে সরকার প্রধান যেরকম করে বলছেন, তিনি জনগণকে আহ্বান জানাবেন, বোঝাবেন। সিদ্ধান্তটা জনগণ নেবে।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, আমি মনে করি, তাদের (আওয়ামী লীগের) নামে যত অপরাধ আছে তার বিচার দ্রুত করা উচিত। সাড়ে সাত মাসে এখনও বিচারকাজ শুরুই হয়নি। এটা বেদনার। যদি রেগুলার বিচারগুলোও শুরু হতো, তাহলেও অনেক প্রশ্নের জবাব আপনা আপনিই আসতো।

Manual4 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদের। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যা প্রায় ৭৫০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য উত্থাপন করে।

তিনি উল্লেখ করেন, নাগরিক ঐক্য এ প্রস্তাবগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে মতামত প্রদান করেছে, যেখানে ১০৪টি সুপারিশের প্রতি একমত, ৫১টি সুপারিশের প্রতি অসম্মতি এবং ১১টি সুপারিশের প্রতি আংশিক সম্মতি জানানো হয়েছে। আমাদের মতে, ৯৩টি সংস্কার নির্বাচনের আগেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং ২২টি সংস্কার নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।

সভায় বলা হয়, সংস্কারের নামে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন— দেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ বিধান ও পদ্ধতি ইত্যাদি।

Manual8 Ad Code

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code