Sharing is caring!

জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার অটোটেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯ চাঁদনীঘাট শাখার নির্বাচন নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ বিরাজ করছে। নির্বাচনের বিষয় দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিগত স্বৈরচার সরকারের সময় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে শ্রমিক নয় এমন ২ ব্যক্তি সভাপতি শামীম আহমদ ও সাধারন সম্পাদক আলী চাঁদনীঘাট অটোটেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯) ছিলেন।
শ্রমিকদের দাবী ১৫ বছর হয়নি কোন নির্বাচন। গত ২৪ জুলাই আন্দোলনের ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেন সুমন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। বিগত স্বৈরচার সরকারের সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শ্রমিক নয় এমন ২ ব্যক্তি সভাপতি শামীম আহমদ ও সাধারন সম্পাদক আলী চাঁদনীঘাট অটোটেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯) ছিলেন।
শ্রমিকদের দাবী ১৫ বছর হয়নি কোন নির্বাচন। গত ২৪ জুলাই আন্দোলনের ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেন সুমনন আহমদ নামে এক ব্যক্তি। গত ২৭ জুন অটোটেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমেদ সাধারন সভা করে মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রশীদকে নিবার্চন কমিশনার ও ৭ সদস্য বিশিষ্ট নিবার্চন কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনে মৌলভীবাজার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের একজন সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ এবং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ সাহফদকে জেলা কমিটির সদস্য সচিব করে নিবার্চন কমিশন গঠন করা হয়। সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। স্বত:ফুর্ত ভাবে শ্রমিকরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। পরবর্তী অজ্ঞাত কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
এব্যাপারে চাঁদনীঘাট শাখার শ্রমিক সুমন খাঁন, সুন্দর মিয়া, ইরেশ কর, আলমগীর, মতিন মিয়া, সুবিনয় দেব,পলাশ দেব, দুলাল মিয়া, ফরিদ মিয়া রাসেল আহমদ পাবলু সহ অনেক শ্রমিক বলেন, স্বৈরাচারের দোস্বররা নির্বাচন দেননি। বিগত ১৫ বছর নির্বাচন হয়নি। তারা পলায়নের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমন আহমেদকে করা হয়েছিল। তিনি এখন ক্ষমতা ছাড়তে চাননি। ভারপ্রপ্ত সভাপতি সুমন আহমেদ শ্রমিক নন। তারপরও তিনি ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নন। তার কথা সভাপতি পদে নির্বাচন না দিয়ে অন্য পদের নির্বাচন করতে। এমনকি তিনি নির্বাচনে বাঁধাগ্রস্থ করছেন। আমরা ৪ শত শ্রমিক ১৫ বছর পর স্বৈরাচার মুক্ত সুন্দর একটি নির্বাচন চাই। বর্হিরাগত শ্রমিক নয় এমন ব্যক্তিরা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থী হতে চায়। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। অনেক স্বৈরাচারের দোস্বররা এই নির্বাচনে প্রবেশ করেতে চায়। আর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তার পদ ছাড়তে রাজী নয়। যার ফলে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন বিঘ্ন হচ্ছে। এছাড়া বেলাল মিয়া সভাপতি প্রার্থী ও মো: আবুল কালাম সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে প্রচার প্রচারনাায় অনেক টাকা ব্যয় করে ফেলছেন। এর দায় কে নেবে। ২৪ জুলাই আন্দোলনে বৈষম্য ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের মাঝে আবার বৈষম্য ও স্বৈরাচার ঢোকে পড়েছে।
এব্যাপরে মৌলভীবাজার অটোটেম্পু, বেবিট্যাক্সি, মিশুক, সিএনজি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের রেজিঃ নং- চট্ট ২৩৫৯ এর সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, বিগত ১২ বছরের মধ্যে বিভিন্ন ফ্যাসিবাদ শক্তির কারনে আমি কোনো নিবার্চন সম্পন্ন করতে পারি নাই। আমরা কিছু দিন পূর্বেই সকল শ্রমিক নিয়ে একটা সাধারণ সভার মাধ্যমে বিগত দিনের হিসাব নিকাশ গ্রহণ করে মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রশীদকে নিবার্চন কমিশনার ও ৭ সদস্য বিশিষ্ট নিবার্চন কমিশন গঠন করি। এই কমিশনে মৌলভীবাজার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের একজন সদস্য সচিব আব্দুল আহাদ এবং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ সাহফদকে জেলা কমিটির সদস্য সচিব করে নিবার্চন কমিশন গঠন করি।কমিশনের মাধ্যমে নিবার্চনের কার্যক্রম ইতিমধ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে।
এগুলোকে সম্পুর্ন নিরসন করে আমরা অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ একটা নিবার্চন দেওয়ার চেষ্টায় আছি। ২০ আগষ্ট কোনো নিবার্চনের তারিখ দেওয়া হয় নাই। আনুষ্ঠানিক ভাবে তফসিল ঘোষণা পর নিবার্চন তারিখ নির্ধরন করা হবে। এখানে কিছু সংখ্যক মানুষ না বুঝেই কথা বলছে। অনেকেই অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে যাদের শ্রমিক কার্ড নাই, তাদের অংশ গ্রহণ করার সুযোগ নেই।