আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী ও এমপি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কিন্তু তাদের বীজ এদেশে রেখে গেছে। সেই বীজ আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। একটি দল তাদের ছত্রছায়ায় সেই বীজকে তাদের পক্ষে ব্যবহার করছে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিয়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। আমাদেরকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে আগামী নির্বাচনে অনেক কঠিন লড়াই হবে এবং সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি বিএনপির বিজয় হবে। এসব কথা বলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।
শনিবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বিএনপি পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ থেকে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে ঠিকই কিন্তু আওয়ামী শক্তি মিলে যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী শেখ হাসিনার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সিলেটের কিংবদন্তি নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতন, গুম, খুন হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশি-বিদেশি শত্রুরা চায় না জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছিল। আমাদের মধ্যে এখনো বিভিন্ন ব্যক্তি চর্চা রয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সত্যিকারভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আর সেই ঐক্যবদ্ধ হবে ইস্পাত কঠিনের মতো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন, একটি বিশেষ দল রয়েছে তাদের টাকার কোন অভাব নেই। ওদের ব্যাংক, হাসপাতাল রয়েছে। ওদের বড় বড় নেতারা বেতনভুক্ত। টাকা তাদের কাছে কোন ফ্যাক্টর নয়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে খুবই কঠিন। আওয়ামীলীগ ওই দলের ওপর ভর করে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী দিবে, তারা বিএনপিকে ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়েছে। বিগত ১৬টি বছর বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আওয়ামী পুলিশ লীগ রাজনৈতিক মাঠে আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পদের পেছনে ও নেতার পেছনে না ছুটে মাঠে নেমে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সদস্য আব্দুল মুকিত, বকশী মিসবাহুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, মোহিতুর রহমান হেলাল, আবুল কালাম বেলাল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বিগত সময়ের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।