Sharing is caring!
মোঃ ওবায়দুল হক মিলন, সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করচার হাওড়টি লাখ লাখ মানুষের খাদ্যের ভান্ডার। এই হাওড়ে বছরে একটি মাএ ফসল উৎপাদন হয় কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখন মাএ অগ্রাহায়ন মাস করচার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে রাবার ড্যাম নষ্ট হওয়ার কারনে।এভাবে পানি কমতে থাকলে হাওড়ে কৃষক ধান চাষ করতে পারবেনা এবং রোপনের সময় পানি পাওয়া যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলার মল্লিক পুর হাজিবাড়ির বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন আমি একজন বড় গৃহস্থ আমাদের হাওড়ে ১০/১২ হাল ধানের জমি আছে কিন্তু পানি কমে গেলে ধান চাষাবাদ করতে পারবো না ফলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে অসুবিধা হবে। একই গ্রামের আব্দুল্লাহ, মালেক, জাহাঙ্গীর সহ অনেকেই সমস্যার সমাধান চান দ্রুতই। পদ্মনগর গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান মেম্বার,সুবল,বদিউজ্জামাল সহ অনেকেই বলেন আমাদের হাওড়ের পানি রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। মুক্তিখলা এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন এভাবে চলতে থাকলে আমাদের হাওড় পারের বাসিন্দারা নানান দুর্ভোগের মধ্যে পরবো এর সমস্যার সমাধান বাহির করতে হবে।সরজমিনে ঘুরে দেখাযায় রাধানগর, পিয়ারিনগর,ধরেরপাড়,বাগগাও সকল এলাকার জমি আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে।
ঘাগটিয়া পানি ব্যাবস্হপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড(পাবসস) এর সাবেক সভাপতি বর্তমানে সদস্য আব্দুল গনি আনছারি বলেন রাবার ড্যামটি এলজিডি সমিতির মাধ্যমে পরিচালনা করে।এর যাবতীয় খরচ সমিতিকে বহন করতে হয়। আমরা কৃষকের কাছ থেকে টাকা উত্তলন করে এই ড্যামটির খরচ বহন করে থাকি।বর্তমানে এর খরচ বহন করা আমাদের সম্ভব নয় তাই সরকার এই রাবার ড্যামের পরিচালনার সমস্ত খরচ বহন করুক নয়তো আগের মতো সুইছ গেইট নির্মান করা হোক।এই রাবার ড্যামটির কাজ শুরু হয় ৭/৮ বছর হয় তার আগে এখানে সুইছ গেইট ছিলো। গত পাচ বছর ধরে রাবার ড্যামের পাম্প হাউজ নষ্ট হয়ে পরে আছে। বর্তমানে রাবার লিক হয়ে যাওয়ায় করচার হাওড়ের পানি নেমে যাচ্ছে সেই সাথে হাওড় শুকিয়ে চাষাবাদের অনপোযোগি হয়ে পরছে,এটি জরুরি মেরামত করা দরকার নইলে হাওড় বাসির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা এটি মেরামতে জন্য একটি খসড়া অফিসে জমা দিয়েছি।
হাওড় বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন কৃষকের এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা অতীব জরুরী। নইলে হাওড় পারের সকল কৃষক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
হাওড় বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল বলেন কৃষক বাচলে দেশ বাচবে, কৃষকের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা দরকার।হাওড়ের পানি কমে গেলে সময়মতো পানি পাওয়া যাবে না তাই রাবার ড্যামটি মেরামতের উপযোগি করে তুলা অতীব জরুরী।
উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন আমি কৃষকের কথা বিবেচনা করে কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রাবার ড্যামটির দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো।