আজ শনিবার, ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টি বাগড়ার পর রোদের ঝলকানি; সিলেটে জমজমাট পশুর হাট

editor
প্রকাশিত জুন ৬, ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ণ
বৃষ্টি বাগড়ার পর রোদের ঝলকানি; সিলেটে জমজমাট পশুর হাট

Sharing is caring!

মোহাম্মদ নুরুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সপ্তাহব্যাপী টানা বৃষ্টিতে সিলেটে কুরবানির পশুর হাটগুলোতে ধীরগতি দেখা গেলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জমে উঠেছে হাটগুলোর পরিবেশ। ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নগরীর পশুর হাটগুলো। হাটে হাটে বেড়েছে গরুর আমদানি, দর-দাম করে বাজার মাতিয়ে তুলছেন ক্রেতারা।
দেশী-বিদেশী নানা জাতের গরু হাটে উঠলেও ক্রেতাদের কাছে দেশী গরুর প্রাধান্যই বেশি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। পছন্দসই গরু কিনতে বাজেটের সাথে সমন্বয় করতে না পেরে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কিছুটা বাড়লেও তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে।
নগরীর সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট কাজিরবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু ও ছাগল নিয়ে এসেছেন পাইকাররা। সামিয়ানার নিচে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছোট-বড় বাহারি রঙের গরু। পাশেই রয়েছে ছাগল আর ভেড়ার সমাগম। এই হাটে গরু কিনতে আসা দক্ষিণ সুরমার রাফসান বলেন, “প্রতিবছর টাকার তুলনায় গরুর আকার কমছে। হাটে তুলনামূলক গরু বেশি থাকলেও বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। মাঝারি আকারের গরু খুঁজছি কিন্তু বাজেটের সাথে সমন্বয় করতে পারছিনা”।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা, টিলাগড়, মেজরটিলা, শাহপরান গেইট সহ বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দাম দর নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মেজরটিলা হাটে গরু কিনতে আসা বটেশ্বরের মাসুম জানান, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজই প্রথম হাটে এসেছি। মাঝারি আকারের গরু খুঁজছি। প্রত্যাশা আর দামের সমন্বয় হলেই গরু নিয়ে বাসায় ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি”।
জৈন্তাপুর থেকে টিলাগড় হাটে ৩০টি গরু নিয়ে এসেছেন কামরুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ১৫টি গরু বিক্রি করেছেন, বাকিগুলোও বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে শেষ মুহুর্তে বাজার আরও জমে উঠবে বলে মনে করছেন তিনি।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটে গরু-ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিক্রতাদের। গরু-ছাগলের পাশাপাশি কুরবানির মাংস কাটাকাটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও গো-খাদ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।  অনেক স্থানে যানজটও তৈরী হতে দেখা গেছে।